নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের তৃতীয় বর্ষের এক ছাত্রী যৌন হয়রানি ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন। গত ১২ মার্চ (বুধবার) সন্ধ্যায় ইফতার অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে সিএনজি অটোরিকশায় দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন তিনি।
অভিযোগ অনুযায়ী, দুর্বৃত্তরা তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে, চোখে মলমজাতীয় কিছু লাগিয়ে অচেতন করে তার মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং রাস্তার পাশে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, ঘটনার পর তিনি সুধারাম থানায় যান, তবে সেখান থেকে তাকে অন্য থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং তাৎক্ষণিক কোনো আইনগত সহায়তা পাননি। পরে সহপাঠীরা তাকে উদ্ধার করে ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনেন ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন।
ঘটনার পর ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাত ১০টা থেকে নোয়াখালীর চৌরাস্তা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। পাশাপাশি, অবৈধ সিএনজি চলাচল বন্ধ এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ আবদুর রকিব জানান, “ইফতার শেষে বাড়ি ফেরার পথে ছাত্রীটি ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে। তারা তার চোখে কিছু লাগিয়ে অচেতন করে মূল্যবান জিনিসপত্র ছিনিয়ে নেয় এবং রাস্তার পাশে ফেলে পালিয়ে যায়।”
ঘটনাস্থলে উপস্থিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইব্রাহিম বলেন, “আমি রাত সোয়া ১১টায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করি।”
শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন এবং তাদের দাবি না মানা হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তাদের প্রধান দাবিগুলো হলো: দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা, অবৈধ সিএনজি চলাচল বন্ধ করা, শিক্ষার্থীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা স্পষ্ট জানিয়েছেন, এই ঘটনার সঠিক বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।