মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় বসেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে গাজা দখল এবং ফিলিস্তিনিদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। ট্রাম্পের করা এমন মন্তব্য “হাস্যকর” উল্লেখ করে নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়ার প্রধান সংবাদমাধ্যম। ১২ ফেব্রুয়ারি এক প্রতিবেদনে ট্রাম্পের করা এমন মন্তব্যের নিন্দা জানানো হয়।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) এই মন্তব্যে সরাসরি মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম উল্লেখ না করে প্রকাশ করা হয়, নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য ফিলিস্তিনিদের মনে যে ক্ষীন আশা বেঁচে ছিল, তা ওয়ি প্রস্তাবের কারণে ভেঙ্গে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, ‘যুক্তরাষ্ট্রের উত্তাপে বিশ্ব এখন যব সেদ্ধ করার পাত্রের মতো ফুটছে’।
সম্প্রতি আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আমেরিকা গাজার নাগরিকদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে চায় এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুর্নগঠন করতে আগ্রহী।
এছাড়াও ট্রাম্প প্রশাসন পানামা খাল এবং গ্রিনল্যান্ড দখলের যে আহবান জানিয়েছে তা নিয়েও কেসিএনের প্রতিবেদনে সমালোচনা করা হয়। এমনকি মেক্সিকো উপসাগর এর নাম পরিবর্তন করে আমেরিকা উপসাগর করার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করা হয়।
উত্তর কোরিয়ার এই সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, “যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তাদের কালানুক্রমিক বিভ্রান্তি থেকে জেগে উঠা এবং অবিলম্বে অন্য দেশ ও জনগণের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের লঙ্গন বন্ধ করা”। কড়া সমালোচনার পাশাপাশি “হোয়াইট হাউজকে চাঁদাবাজ বলেও অভিহিত করা হয়”।
ট্রাম্পের প্রথম শাসনামলে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জন উনের সঙ্গে বৈঠক করে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দেন। দ্বিতীয় মেয়াদেও দায়িত্ব গ্রহণের পর ট্রাম্প জানিয়েছেন তিনি উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন নেতা কিমের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য করেনি উত্তর কোরিয়া।