আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তাঁর একসময়কার ঘনিষ্ঠ সহযোগী বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের মধ্যকার দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আমেরিকার রাজনৈতিক অঙ্গণ।
সাম্প্রতিক দিনগুলোতে প্রকাশ্যে শুরু হয়েছে দুইজনের বাগযুদ্ধ ও হুমকি-পাল্টা হুমকির লড়াই, যা দেশটির রাজনীতিতে বড় আলোড়ন তুলেছে।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে মাস্কের স্পেসএক্স ও অন্যান্য সরকারি ভর্তুকিপ্রাপ্ত প্রকল্প বাতিলের হুমকি দিয়েছেন এরই মধ্যে। ফলস্বরূপ টেসলার শেয়ারের দাম পড়ে গেছে ১৪ শতাংশ।
মাস্কও পাল্টা ট্রাম্পের অভিশংসনের আহ্বান জানিয়েছেন এবং যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টাইন ও ট্রাম্প সংক্রান্ত গোপন নথি সামনে আনার হুমকি দিয়েছেন।
ট্রাম্প-মাস্কের এই দ্বন্দ্ব কেবল রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক নয়, বরং ব্যক্তিগত আঘাত-প্রতিঘাতে রূপ নিচ্ছে। হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরে এবং জনসমক্ষে বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়েছে, যেখানে দুইজনের কথাবার্তা যেন পরিণত হচ্ছে ‘প্রাক্তন বন্ধুর’ প্রতিশোধমূলক আচরণে।
মাস্ক তার বিশাল সম্পদের প্রভাব কাজে লাগিয়ে রিপাবলিকান বিরোধী প্রার্থীদের অর্থায়ন করতে পারেন বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অপর দিকে, ট্রাম্প মাস্কের কোম্পানিগুলোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল বা পুরনো তদন্ত পুনরায় শুরুর হুমকি দিয়েছেন।
এ দ্বন্দ্বের রাজনৈতিক পরিণতি এখনও পরিষ্কার নয়, তবে বিশ্লেষকরা বলছেন—এই সংঘাত দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং আমেরিকার রাজনৈতিক সমীকরণে বড় পরিবর্তন এনে দিতে পারে।
এ দিকে, মাস্ক-ট্রাম্পের মধ্যকার এই দ্বন্দ্বের বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে ডেমোক্র্যাটরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে এখনও মুখ খোলেননি কোনো ডেমোক্র্যাট নেতৃবৃন্দ।
তবে সার্বিকভাবে, এই সংঘাত পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।