সালমান মুক্তাদির ঠাণ্ডা মাথায় ভারতীয় মিডিয়াকে তীব্র সমালোচনা করেছেন। স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার পতনের পর বাংলাদেশের মানুষ কিছুটা স্বস্তি অনুভব করলেও, রাজনৈতিক কারণে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
ভারতীয় এবং কলকাতার গণমাধ্যমগুলো এই পরিস্থিতি পুঁজি করে প্রোপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। তারা দাবি করছে, হাসিনার পদত্যাগের পর বাংলাদেশে একের পর এক সংখ্যালঘু, বিশেষ করে হিন্দুদের ওপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে এবং মন্দির ভাঙা হচ্ছে। কিন্তু এসব দাবি সত্য নয়; প্রমাণিত হয়েছে যে, এসব ভিডিও সাম্প্রতিক ঘটনার নয় এবং পুরনো ঘটনা নিয়ে ম্যানিপুলেশন করা হচ্ছে।
এ ধরনের কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ সালমান মুক্তাদির দেশের ইউটিউবার, কনটেন্ট ক্রিয়েটর, অভিনয়শিল্পী ও সাংবাদিকদের বিরক্তি প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে তিনি নিজেই কনটেন্ট তৈরির ঘোষণা দেন এবং কয়েকদিন পর তিন মিনিট ২৭ সেকেন্ডের একটি ভিডিও প্রকাশ করেন।
ভিডিওতে তিনি ভারতের গণমাধ্যমগুলোর নেতিবাচক ভূমিকার সমালোচনা করেন এবং বলেন, “বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্ক ভালো হলেও, কিছু সংবাদমাধ্যম মিথ্যা খবর প্রচার করে গুজব ছড়াচ্ছে। বাংলাদেশে মাঝে মাঝে হিন্দু নির্যাতন হয়, যেমনটা ভারতে হয়।”
সালমান ভিডিওতে ধর্ম ও বর্ণের পার্থক্য ভুলে মানবিক হওয়ার আহ্বান জানান এবং সমস্ত ধরনের নির্যাতনের বিরুদ্ধে সজাগ ও জোরালো অবস্থান গ্রহণের জন্য আবেদন করেন।
এমএ//