রুশাইদ আহমেদ ||
বর্তমানে অনেকেই বিষণ্নতা বা ডিপ্রেশনের সঙ্গে লড়াই করছেন। এটি মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং দীর্ঘস্থায়ী হলে জীবনের নানা দিক প্রভাবিত হতে পারে। তবে কিছু কার্যকর উপায় অবলম্বন করলে ডিপ্রেশন থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলথলাইন এই বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছে। জেনে নিন সেই উপায়গুলো—
১. টক থেরাপি
একজন প্রশিক্ষিত থেরাপিস্টের সঙ্গে নিজের মানসিক অবস্থা, চিন্তা ও অনুভূতি ভাগ করে নেওয়া টক থেরাপির মূল উদ্দেশ্য। এই পদ্ধতিতে থেরাপিস্ট ব্যক্তি বিশেষের সমস্যা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে থাকেন, যা ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করতে পারে।
২. কগনিটিভ থেরাপি
অনেকে নেতিবাচক চিন্তায় আটকে থাকেন, যা বিষণ্নতা বাড়িয়ে তোলে। কগনিটিভ থেরাপি বা জ্ঞানীয় থেরাপি এই ধরনের নেতিবাচক চিন্তাগুলো শনাক্ত করে সেগুলো নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, যাতে ব্যক্তি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করতে পারেন।
৩. বিহেভিয়ারাল থেরাপি
আচরণগত থেরাপি এমন কিছু অস্বাস্থ্যকর বা আত্ম-ধ্বংসাত্মক আচরণ পরিবর্তনে সহায়তা করে, যা মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। এর মাধ্যমে ব্যক্তি নতুন ও স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন, যা তার সুস্থতায় সহায়ক হয়।
৪. কগনিটিভ-বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT)
কগনিটিভ ও বিহেভিয়ারাল থেরাপির সমন্বয়ে গঠিত এই পদ্ধতিটি একজন ব্যক্তির মানসিকতা ও আচরণ উভয়কেই উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি ডিপ্রেশন কাটিয়ে ওঠার অন্যতম কার্যকর থেরাপি হিসেবে বিবেচিত হয়।
বিশেষ পরামর্শ
বিষণ্নতার কারণে অনেকে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলতে পারেন। যদি কাছের কেউ চরম ডিপ্রেশনে ভুগে থাকেন, তবে তার পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি শেয়ার করা এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক সহায়তা নিলে ডিপ্রেশন থেকে বেরিয়ে আসা সম্ভব।