ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) লাল সন্ত্রাসের আহ্বান নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এ ঘটনায় ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেঘমল্লার বসুকে ‘লাল সন্ত্রাসী’ আখ্যা দিয়ে তার গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে একদল শিক্ষার্থী।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) রাত ১২টা পেরিয়ে এ বিক্ষোভ মিছিলটি হল পাড়া থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলো প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সমবেত হয়।
বিক্ষোভকারীরা ‘লাল সন্ত্রাসী, জঙ্গি বসু’, ‘জঙ্গিবাদের কবর দে’, ‘লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে অ্যাকশন’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী মুসাদ্দেক আলী ইবনে মুহাম্মদ বলেন, “দেশে অস্থিরতা তৈরির পেছনে বরাবরই লাল সন্ত্রাসীদের ভূমিকা ছিল। তারা এ সন্ত্রাস পুনরায় চালু করার চেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীরা এ চেষ্টাকে ব্যর্থ করবে।”
অপর শিক্ষার্থী এ বি জোবায়ের বলেন, “লাল সন্ত্রাসের আহ্বান প্রকৃতপক্ষে জঙ্গিবাদ উস্কে দেওয়ার শামিল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেঘমল্লার বসুকে গ্রেফতার করতে হবে।”
সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী আজিজুল হক অভিযোগ করেন, “গত ১৬ বছর ধরে বামেরা আওয়ামী লীগের অনুগত হয়ে কাজ করেছে। এখন তারা ক্যাম্পাসে পুনরায় সন্ত্রাস কায়েমের চেষ্টা করছে।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা মাহিন সরকার বলেন, “লাল সন্ত্রাসীরা অতীতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড এবং ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতার সঙ্গে জড়িত ছিল। আমরা তাদের কোনোভাবেই পুনরুত্থান করতে দেব না।”
এর আগে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মেঘমল্লার বসু তার ফেসবুক প্রোফাইলে ইংরেজিতে লেখেন, “লাল সন্ত্রাসই একমাত্র পথ।” এ ঘোষণার পরই শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয় এবং বিক্ষোভের সূত্রপাত হয়।
আরইউএস//বিএন