রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাংবাদিককে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এতে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সাব্বির আহমেদে। তিনি সরকারি তিতুমীর কলেজে সাংবাদিক সমিতির সাবেক সভাপতি। তিনি সময়ের আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক। হামলায় তার মাথা ও শরীরের বিভিন্ন অংশ রক্তাক্ত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ মার্চ) সন্ধ্যায় কলেজের সাবেক শিক্ষার্থীদের ইফতার মাহফিল থেকে অফিসে যাওয়ার পথে তিতুমীর কলেজের আক্কাছুর রহমান আঁখি হলের সামনের প্রধান সড়কে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় তাকে বেধরক পেটানো হয়। এতে তার পিঠ, ঘাড়, হাত, পা, মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্বক জখম হয়েছে। হামলাকারীরা তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকিসহ অকথ্য ভাষায় গালাগাল করতে থাকে বলে জানা গেছে।
সূত্র বলছে, একটি ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়লের নেতৃত্বে কলেজ ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক এস এম ইমরুল রুদ্র এই হামলা করে।
ঘটনার বিষয়ে সাব্বির আহমেদ বলেন, আমার ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক আয়োজিত ইফতার মাহফিলে অংশ নিতে ক্যাম্পাসে যাই। সেখানে ছাত্রলীগের নেতা এস এম ইমরুল রূদ্র এসে আমার সাথে সাক্ষাৎ করে। ইফতার শেষে রূদ্র আক্কাসুর রহমান আঁখি হলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। তিনি আরও বলেন, তারা রড, লাঠিসোটা নিয়ে এলোপাথাড়ি আঘাত করে। এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। এ সময় আমার মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায় হামলাকারীরা।
সাব্বির আহমেদ বলেন, কলেজ প্রশাসনকে পরিচালনা করছেন তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হক জুয়েল মোড়ল । ক্যাম্পাসে কোন ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলেও কলেজ প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নেয় না।
এই ঘটনায় তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়ার মুঠো ফোনে একাধিকবার কল করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায় ।
হামলার বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানকে অবগত করা হলে তারা বলেন, যারা হামলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শফিক খান
সরকারি তিতুমীর কলেজ