বাজারে যেখানে এক কেজি গরুর মাংসের দাম ৭৫০ টাকা সেখানে রমজান মাস উপলক্ষ্যে ৫৯৫ টাকা কেজিতে গরুর মাংস বিক্রি করছেন আলোচিত মাংস বিক্রেতা খলিলুর রহমান খলিল। এত কমদামে মাংস বিক্রি করায় বিক্রি বেরেছে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েক গুন বেশি। ফলে দিনে অর্ধ শতাধিকেরও বেশি গরু জবাই করতে হচ্ছে তাকে। গতকাল বুধবার (১৩ মার্চ) ৭৫ লাখ টাকার মাংস বিক্রি করেছেন খলিল।
রোজার শুরুতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘোষণা দিয়ে ৫৯৫ টাকা কেজিতে মাংস বিক্রি উদ্বোধন করেন খলিল। এ কারণে দূর-দূরান্ত থেকে অনেকেই মাংস কিনতে ভিড় জমিয়েছেন খলিলের দোকানে।
গতকাল ইফতারের আগ মুহূর্তে খলিলের মাংসের দোকান ‘খলিল গোস্ত বিতান’ এ সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাংস কেনার লম্বা লাইন। যেখানে শত শত মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। এসব লোক খলিলের দোকানে গরুর মাংস কিনতে এসেছেন। কেউ কেউ আবার লম্বা লাইন দেখে ফিরে যাচ্ছেন। লাইনে দাঁড়ানো একজন ক্রেতার সংগে কথা বলে জানা যায়, ‘পাঁচ কেজি মাংস নিতে এসেছেন তিনি। গতকালও এসেছিলেন কিন্তু লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত মাংস পান নি। গতকালের মত আজও লম্বা লাইন দেখে হতাশ তিনি। কখন এই লাইন শেষ হবে- সেই চিন্তার ভাঁজ তার কপালে। আবার লাইন শেষ হতে হতে মাংস মিলবে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
খলিলের সংগে কথা বললে তিনি জানান, রোজার মাসে সবাই যেন গোসত কিনে খেতে পারে সেজন্য ৫৯৫ টাকায় বিক্রি করছি। লাভ কম হলেও বেশি গরু জবাই করছি, আর তাতেই পুষিয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে মাংস বিক্রি চলছে। আজ সারাদিন ৪০টি গরু জবাই হয়েছে। আর পাঁচটি আছে, যা রাত ১০টার আগেই শেষ হয়ে যাবে। লাইনে যত লোক আছে তাদের সবার মাংস হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এখানকার মাংস নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সবার সামনে গরু জবাই করা হচ্ছে। তার পর তাদের সামনেই মাংস কেটে দেওয়া হচ্ছে।