দেশে ইন্টেরিয়র ডিজাইনারের পেশার চাহিদা ব্যাপকভাবে বেড়ে গেছে। এটি একটি বহুমাত্রিক সৃজনশীল পেশা, যেখানে ডিজাইনারদের কাজ হলো বাড়ি বা অফিসের সাজসজ্জাকে আকর্ষণীয় ও ব্যবহারযোগ্য করে তোলা।
এ ধরনের ডিজাইনে রঙের গুরুত্ব রয়েছে, যেমন গাঢ় রঙ মানুষের নজর আকর্ষণ করে, আর হালকা রঙ স্নিগ্ধতা প্রদানের প্রতীক। রঙের সঙ্গে মিল রেখে পর্দা, আসবাবপত্র, টাইলস এবং অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করা হয়। এসির সুবিধা ও ঘরের আকর্ষণ বাড়ানোর জন্য ফলস সিলিংও ব্যবহৃত হয়। অফিসে আরও সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বিশেষ ধরনের গাছও রাখা যায়।
ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হওয়ার জন্য সৃষ্টিশীল চিন্তা ও সূক্ষ্ম পরিকল্পনা থাকা প্রয়োজন। একজন দক্ষ ডিজাইনার শুধু ডিজাইনই নয়, বরং কাজের সাথে যুক্ত অন্যান্য কর্মীদের (যেমন কাঠমিস্ত্রি, রঙমিস্ত্রি, ইলেকট্রিশিয়ান) কাজও মনিটর করতে পারেন।
এই পেশার জন্য সাধারণত এইচএসসি পাস করা যে কেউ কোর্স করতে পারেন। কোর্সে ফ্লোরিং, ফার্নিশিং, ফলস সিলিং, বিদ্যুৎ, আলো, এয়ার কন্ডিশনার, প্লাম্বিং, কিচেন ডিজাইনসহ অন্যান্য বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়।
পেশাগতভাবে ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হয়ে উন্নত ক্যারিয়ার গড়া সম্ভব। রিয়েল এস্টেট কোম্পানি, কনস্ট্রাকশন ফার্ম, স্থাপত্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান, হোটেল, করপোরেট গ্রুপ ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানে চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিছু ডিজাইনার ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করে আয়ের সুযোগ পায়। তবে, ফ্রিল্যান্স কাজের জন্য সৃজনশীলতার পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ গ্রহণের মানসিকতাও প্রয়োজন।
চাকরির শুরুতে ২০ থেকে ৬০ হাজার টাকা মাসিক আয় হতে পারে, এবং অভিজ্ঞতা বাড়লে বেতনও বৃদ্ধি পায়।