চট্টগ্রামে ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানের ঘটনায় অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ পাঁচজন হাইকোর্ট থেকে খালাস পেয়েছেন। মঙ্গলবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে আসামিদের আপিল শুনানি শেষে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর প্রায় সাড়ে ১৭ বছর ধরে কারাগারে রয়েছেন এবং এ মামলাই ছিল তার বিরুদ্ধে শেষ বিচারাধীন মামলা। আইনজীবীদের মতে, এই মামলায় খালাস পাওয়ার পর তার মুক্তিতে আর কোনো বাধা নেই।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসিফ ইমরান জিসান। বাবরের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও অ্যাডভোকেট শিশির মনির। শিশির মনির জানান, মামলার ১৪ জন আসামির মধ্যে পাঁচজন খালাস পেয়েছেন, পাঁচজনের সাজা কমানো হয়েছে এবং চারজনের মৃত্যুজনিত কারণে তাদের আপিল নিষ্পত্তি করা হয়েছে।
এর আগে ২০০৪ সালের ১লা এপ্রিল চট্টগ্রামের সিইউএফএল ঘাট থেকে ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান আটক করা হয়। এ ঘটনায় কর্ণফুলী থানায় অস্ত্র আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি মামলা হয়। ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত অস্ত্র চোরাচালান মামলায় ১৪ জন আসামিকে ফাঁসির আদেশ দেন। আর অস্ত্র মামলায় তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ হয়।
মঙ্গলবার হাইকোর্টের রায়ে লুৎফুজ্জামান বাবর ছাড়াও খালাসপ্রাপ্তদের মধ্যে ছিলেন সিইউএফএল-এর তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন উদ্দিন তালুকদার, মহাব্যবস্থাপক কে এম এনামুল হক, ডিজিএফআই-এর সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব নুরুল আমিন।
এদিকে, মারা যাওয়ায় চার আসামির আপিল পরিসমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া, পাঁচ আসামির সাজা কমিয়ে ১৪ বছর এবং আরও চার আসামির সাজা কমিয়ে ১০ বছর করা হয়েছে।