ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে এবং দেশব্যাপি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা
সোমবার (১০ মার্চ ২০২৫) বিকাল ৩ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যবরেটরি স্কুলের সমনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দের ব্যনারে এ মানববন্ধন করেন তারা।
এসময় শিক্ষার্থীদের ‘সারা বাংলায় খবর দে, ধর্ষকদের কবর দে; রশি লাগলে রশি নে, ধর্ষকদের ফাঁশি দে; আমার বোনের রক্ত, বৃথা যেতে দেব না; তুমি কে আমি কে, আছিয়া আছিয়া; ধর্ষকদের ফাঁশি দে, নইলে গদি ছাইড়া দে’ প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
মানববন্ধনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী রাইয়ান মাহমুদ রাব্বি বলেন, “সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ধর্ষনের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিৎ করতে হবে। শুধু এদের বিচার করলরই হবে না, রাঘব বোয়ালদেরও বিচারের আওতায় আনতে হবে।”
২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী ও আল কুরআনের দারস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জোন এর জিম্মাদার আবরার জাওয়াদ হাসান বলেন, “আজকে আমাদের এই মানববন্ধনে দাঁড়ানো সরকারের ব্যর্থতার পরিচায়ক। সমস্যার মূল কারণ হলো সেই সংবিধান যা বাস্তবিক ক্ষেত্রে রাঘব বোয়ালদের ছেড়ে দেয় এবং যদি কাউকে ধরতেই হয় তবে চুনোপুটিদের ধরতে পারে এবং সেই বিচারকার্য ও হয় খুবই সময়সাপেক্ষ। আমরা র্যাব কর্মকর্তা আলেপ কে দেখেছি, দেখেছি কিভাবে মুনিয়ার ধর্ষক ও হত্যাকারী আনভীর এতকিছু করেও ধরাছোয়ার বাইরে আছে। তাই আমরা এরকম বিচারের নামে প্রহসন চাই না। আমরা চাই এমন আইন, এমন বিচারব্যবস্থা যার ভিত্তি শক্ত। গণতন্ত্রের ধারক বাহক আমেরিকার দিকে তাকালে দেখা যাবে আমেরিকায় প্রতি ৫ জনে ১ জন নারী ধর্ষিত, সেই আমেরিকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে মহিলা কর্মীরা পুরুষ সহকর্মীর হাতে ধর্ষণের স্বীকার হয়। একজন ধর্ষক একদিনে তৈরি হয় না, যেই আমেরিকার প্রেস্ক্রিপশান সুশীলরা নিতে চান সেই আমেরিকা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের পর্ণ ইন্ডাস্ট্রি চালায়, পূজিবাদ-ভোগবাদের ধ্বজাধারীরা মেয়েদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে প্রদর্শন করে, তারা এভাবে ঘরে ঘরে ধর্ষক মস্তিষ্ক তৈরি করেছে তারা। বিকৃত যৌনাচারে লালায়িত এসব মস্তিষ্ক ৭ বছরের একটা বাচ্চাকেও ছাড়ে না। তাই পারলে আপনারা দেশে পর্ণ ইন্ডাস্ট্রি সাইটগুলো বন্ধ করেন। আজকে এখানে আমরা অন্তত যে উদ্দেশ্যে একত্রিত হয়েছি, এই ধর্ষণ ইস্যুতে অন্তত আমরা চাইবো এই মুসলিম অধ্যুষিত জনপদে আপনারা শরীয়াহ কোর্ট চালু করুন যেখানে ধর্ষক কে শরীয়াহ অনুযায়ী সাজা দেয়া হবে তাহলে দেখবেন ধর্ষক তৈরির কোন সুযোগ থাকবে না।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবরেটরি কলেজের শিক্ষার্থী রেদোয়ান নাসির বলেন, “দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে, ধর্ষকরা খোলা আকাশের নিচে ঘুরবে আমরা তা কখনো মেনে নিব না। আমি সবাইকে অনুরোধ করবো সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্যে। ”