ঢাকার ধামরাইয়ের বাটুলিয়া এলাকায় আধ্যাত্মিক সাধক বুচাই পাগলার মাজারে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষক, মসজিদের ইমামসহ স্থানীয় আলেম ওলামারা ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ড ও মাদকের অভিযোগ এনে এই মাজারটি ভেঙে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন, মাজারে কোনো শরিয়াবিরোধী কাজ হতো না, বরং মাদক সেখানে নিষিদ্ধ ছিল। মাজারের টাকায় মসজিদ পরিচালনা, মাদ্রাসায় অর্থ সহায়তা ও দরিদ্রদের সাহায্য করা হতো। মাজার ভাঙার ঘটনায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের বাটুলিয়া এলাকায় এই মাজার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা খননযন্ত্র ব্যবহার করে মাজারের ভবনটি ভেঙে দেয় এবং মাজারের ভেতরের মালামাল লুট করে।
এলাকাবাসীরা জানান, আশির দশকে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া বুচাই পাগলার কবর ঘিরে এই মাজার গড়ে ওঠে এবং প্রতিবছর সেখানে ওরশ ও মেলার আয়োজন করা হতো। তবে কিছু মুসল্লির অভিযোগ ছিল, সেখানে ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড হয়। এরই জেরে মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষকেরা মাজারটি গুঁড়িয়ে দেন।
হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া এক ইমাম বলেন, “এখানে শিরক-বেদাতি কাজ চলছিল। আলেমদের সমন্বয়ে এটি বন্ধ করা হয়েছে।” অন্যদিকে, স্থানীয়রা এই হামলাকে অন্যায় বলে অভিহিত করেছেন এবং বলছেন, মাজারে কোনো ইসলামবিরোধী কাজ হতো না।
ধামরাই উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং মাজার ভাঙার ঘটনায় প্রায় দেড় থেকে দুই কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।