ধুমপান ব্যাপারটার মধ্যে একটা ‘আভিজাত্য’ থাকে বলেই মনে হয়। পৃথিবীর অনেক ক্ষমতাবান মানুষের ছবিতে তাদের হাতে কিংবা ঠোঁটে চুরুট বা সিগারেট দেখা যায় । সিনেমার নায়কদের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই। উত্তম কুমার কিংবা গ্রেগরী পেক এর হাতে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ার দৃশ্য যুগের পর যুগ হৃদয় হরণ করেছে কোটি কোটি তরুণীর!
ধুমপানের সাথে ক্যান্সারের যোগসূত্রিতা প্রথম খুঁজে পাওয়া যায় ঠিক ১০০ বছর আগে। বহু গবেষণা হয়েছে এ নিয়ে। ১৯৫০-২০০০ সালব্যাপী এক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় বলা হয়েছে,ফুসফুসের ক্যান্সারের ৮৫% ক্ষেত্রেই ধুমপান কারণ। উন্নত বিশ্বে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের মধ্যে ৯০% পুরুষ এবং ৭০% নারী ধুমপায়ী! ফুসফুসের ক্যান্সার ছাড়াও ধুমপান মূত্রাশয়ের ক্যান্সার,অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার , স্বরযন্ত্রের ক্যান্সার , খাদ্যনালীর ক্যান্সার ইত্যাদির জন্যও দায়ী।
সিগারেটের ধোঁয়ায় কি এমন থাকে যে ক্যান্সারের জন্য তা এমন মারাত্মক?
গবেষণায় জানা গেছে ,এই ধোঁয়ার মধ্যে এমন রাসায়নিক দ্রব্য সনাক্ত করা গেছে যা কমপক্ষে ৭০ টি ক্যান্সারের জন্য দায়ী । ধুমপানের এই ভয়াবহ প্রভাব যে শুধু ধুমপায়ীর ক্ষতি করে, তা নয়। পরোক্ষভাবে তা পাশের জনেরও ক্ষতি করে। এভাবেই একজন ধুমপায়ী নিজের সাথে নিজের পরিবারের প্রিয়জনদের, প্রতিবেশিদের, সহপাঠী, সহকর্মীদের জন্যও ক্ষতির কারণ হয়ে যাচ্ছে। ধুমপান তাই আসলেই ক্যান্সারের অন্যতম কারন- এতে কোন ভ্রান্তি নেই।