জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অপরিকল্পিতভাবে পুরাতন গাছ কেটে ফেলার প্রতিবাদে রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১১:৩০ মিনিটে নজরুল ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশবাদী সংগঠন ‘গ্রীন ক্যাম্পাস’।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনিতেই গাছের সংখ্যা কম। তার ওপর প্রশাসনের এভাবে গাছ কেটে ফেলা পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি করছে। আমরা এই অবৈধ গাছ কাটার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।”
গ্রীন ক্যাম্পাসের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা বলেন, “আমরা ২০১৯ সালেও চারুদীপের গাছ রক্ষার দাবিতে আন্দোলন করেছি। কিন্তু প্রশাসন বারবার আমাদের দাবিকে উপেক্ষা করছে। যতদিন পর্যন্ত তারা সঠিক সিদ্ধান্ত না নেবে, আমাদের আন্দোলন চলবে।”
মানববন্ধন শেষে গ্রীন ক্যাম্পাসের পক্ষ থেকে ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়, যেখানে ৫ দফা দাবি তুলে ধরা হয়েছে:
১. বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ কাটার কারণ এবং কাটা গাছ মাটি চাপা দিয়ে লোপাট করার বিষয়ে তদন্ত করতে হবে।
২. কোনোভাবেই অযৌক্তিকভাবে গাছ কাটা যাবে না এবং দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
৩. ক্যাম্পাসকে ধুলাবালি মুক্ত রাখতে রাস্তার নির্মাণকাজ সম্পন্ন হলে বিটুমিনের আস্তরণ দিতে হবে।
৪. ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন ও মশার উপদ্রব রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
৫. ডিপিডি হাফিজুর রহমানের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করতে হবে।
গ্রীন ক্যাম্পাসের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন, তাদের দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা দেবেন।