জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়কে নানা রঙে রাঙানো, মঙ্গল শোভাযাত্রা, গান, আলোচনা সভা, লোকসংগীত ও যাত্রাপালার আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে নয় টায় ক্যাম্পাস থেকে মঙ্গল শোভাযাত্রা শুরু হয়ে পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজার, ভিক্টোরিয়া পার্ক ঘুরে আবার জবি ক্যাম্পাসে শেষ হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবীর চৌধুরী। এসময় আরো অংশ গ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতি, শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, কর্মচারী সমিতি সহ সকল বিভাগ ও দপ্তরসমূহ।
শোভাযাত্রায় ইউনেস্কোর অপরিমেয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়া রিকশা চিত্রকে উপপাদ্য করে এ চিত্রাঙ্কন করা হয়েছে। রিকশাতে নব বর-কনেকে বসিয়ে শোভাযাত্রা সামনে রাখা হয়।
এরপর একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাস্কর্য চত্তর সামনে আলোচনা সভা, সংগীত বিভাগের আয়োজনে সংগীতানুষ্ঠান এবং নাট্যকলা বিভাগের আয়োজনে যাত্রাপালা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেক হালিম বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীদের নানা সংকট, সীমাবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বড় সাফল্য অর্জন করছে। আমাদের যার যার ধর্ম পালনের অধিকার, উৎসব পালনের অধিকার রয়েছে আমাদের সংবিধানে। তার একটি উৎসব হচ্ছে পহেলা বৈশাখ।
নারীদের প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন,বাংলা নববর্ষ কৃষি সমাজ থেকে আসছে। পাহাড়ি অঞ্চলে যারা আসছে, তারা বিভিন্ন নামে এ উৎসব পালন করেছে। আমারটাও নানা আয়োজনে পারেন করছি।
কৃষি নারীদের হাত থেকে এসেছে। বর্তমান জরিপে প্রায় ৭০% নারী বিভিন্ন ক্ষেত্রে বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন। কিছু মনে করবেন না, আপনারা যারা পুরুষ আছেন, বরেন্দ্র তো আপনারা কদিন শতাংশ বুলিংয়ের শিকার হচ্ছেন??
এছাড়া সভায় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান ছিল সাম্য, অসাম্প্রদায়িকতা, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার । আজাদের প্রোগ্রাম হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অংশ।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমরা যেন সামাজিক সুবিচার করি। কাউকে ছোট কাউকে বড় মনে না করি। সবসময় যেন অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে চলি।
উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীরা বলেন, গ্রাম বাংলার যেসব ঐতিহ্য হারিয়ে যাচ্ছে, সেসব চিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ঈদের দীর্ঘ ছুটির পরপরই একটি উৎসবের মধ্য দিয়ে আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে অনেক ভালো লাগছে।