মঙ্গলবার রাতে মহারাষ্ট্রের নাসিকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পুলিশ ও পৌরসভার একটি দল ‘অবৈধভাবে নির্মিত’ একটি দরগা অপসারণ করতে গেলে উপস্থিত জনতার সঙ্গে তাঁদের সংঘর্ষ হয়।
নাসিকের কাঠে গলি এলাকায় গতকাল মাঝরাতে এই ঘটনা ঘটেছে। একটি দরগায় অননুমোদিত ইমারত ১৫ দিনের মধ্যে সরিয়ে ফেলতে বিজ্ঞপ্তি জারি করে পুরসভা, তবে দরগা কমিটি কোনও পদক্ষেপ নেয়নি। এর ফলে, পুর কর্তারা তড়িঘড়ি হস্তক্ষেপ করেন। ইমারত ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে প্রায় মাঝরাতে তাঁরা সাতপির দরগায় হাজির হন।
কর্মকর্তা ও পুলিশ অকুস্থলে হাজির হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে তাঁদের বাকবিতণ্ডা ও বচসা শুরু হয়। অভিযোগ, তাঁরা পুলিশের দিকে পাথর ছুঁড়েছেন। পুলিশ ও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে জনতাকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। জানা গেছে, এই ঘটনায় প্রায় ৩১ জন পুলিশ আহত হয়েছেন। এঁদের অনেকের জখম গুরুতর।
নাসিকের এক হাসপাতালে আহত কর্মকর্তাদের চিকিৎসা করা হচ্ছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং সিসিটিভি ফুটেজের মাধ্যমে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ]
সংঘর্ষের পর পুলিশ ১৫ জনকে আটক করেছে এবং ৫৭ জন সন্দেহভাজনের মোটরসাইকেল বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কাঠে গলি থেকে ভাবা নগরের যান চলাচল ব্যাহত হয়ে পড়ায় অন্য রুটে গাড়ি চলছে। পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত থাকায় আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
শিব সেনা (ইউবিটি) নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, নাসিকের এই সংঘর্ষ পূর্ব-পরিকল্পিত; তাঁর দল যেদিন বড় সভা করেছে সেদিনই কীভাবে দরগার উপর হামলা চালানো হল? প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রাউত আরও বলেন, “যাঁরা ক্ষমতায় রয়েছেন, তাঁরা এখনও আমাদের ভয় পান। আমাদের বিশাল সভার দিনই দরগা উচ্ছেদ করতে অভিযান চালানো হল। আমাদের দিক থেকে মানুষের মনোযোগ ঘোরাতেই এমনটা করা হয়েছে।”
রাউতের অভিযোগ, অন্য দিনেও পদক্ষেপ নেওয়া যেত, তবে তাঁদের বিশাল সমাবেশের দিনই এটা করা হয়েছে কেননা অন্তত ১৫ দিন আগে এই অভিযানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। তিনি বলেন, “ওরা কাপুরুষ। আপনারা হিংসায় জ্বলছেন। সেই কারণে আজই পদক্ষেপ নিতে হল। যেখানেই দাঙ্গা হয়, বিজেপি সব সময় সুযোগ নেওয়ার অপেক্ষা করে থাকে।”