হাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলনের মাত্রা ব্যাপকতা ধারণ করলে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে ভারত পলায়ন করেন। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকা উপাচার্য, প্রক্টর, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালক, রেজিস্ট্রার সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দায়িত্বে থাকা শিক্ষকবৃন্দ একের পর এক পদত্যাগ করছেন। তেমনিভাবে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গত ৯ আগস্ট (শুক্রবার) রাষ্ট্রপতি বরাবর উপাচার্য পদ থেকে পদত্যাগ করেন।যার ফলে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে বর্তমানে কোনো উপাচার্য নেই। উপাচার্য ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রমগুলো স্থবির হয়ে পড়েছে। বিভিন্নভাবে জানা যাচ্ছে আগস্ট মাসেই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে।সেক্ষেত্রে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি)সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে দেখতে চাচ্ছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে পড়াশোনার পরিবেশ সমুন্নত থাকবে।তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সামনের দিকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবেন।কারণ তিনি বিশ্ববিদ্যালয়টিকে অন্তরে ধারণ করেন।তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিষয় সম্পর্কে তার পূর্ণ জ্ঞান এবং সকল তথ্যের বিষয়ে অবগত রয়েছেন।
কিন্তু দুঃখের বিষয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর চললেও আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে মাত্র একজন শিক্ষক উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেলে তিনি গবেষণা উন্নয়ন,বাজেটের সঠিক ব্যবহার,বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের সদ্ব্যবহার, পড়াশোনার মানোন্নয়নের বিষয়ে কাজ করার একটি অনুকূল পরিবেশ পান।যেটি বাহির থেকে কোনো উপাচার্যের পক্ষে কম সম্ভব হয়।তাই আমরা নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে দেখতে চাই।
১৯৯৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করে হাবিপ্রবি। ২৫ বছরের যাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়টিতে উপাচার্য হিসেবে ৭ জন নিয়মিত দায়িত্ব পালন করেছেন।
উল্লেখ্যঃ গত ৫ আগস্ট হাবিপ্রবির ৭ম উপাচার্য প্রফেসর ড. এম কামরুজ্জামান তার দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেছেন।