সরকারের পতনের পর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অনেকেই বিভিন্ন মামলার মুখোমুখি হলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকটাত্মীয়দের বেশিরভাগই নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা বিগত সাড়ে ১৫ বছরে সরকার ও দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। এর মধ্যে মন্ত্রী, এমপি, মেয়রসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উচ্চপর্যায়ের দায়িত্বে ছিলেন অনেকে। তবে বর্তমান রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর তারা আগেই দেশ ত্যাগ করে বিদেশে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছেন।
পরিবারের সদস্যদের অবস্থা
শেখ পরিবারের সদস্যদের মধ্যে সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ এবং তার ছেলে সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল অঞ্চলে প্রভাবশালী ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, হাসানাত আবদুল্লাহ ভারতে অবস্থান করছেন। তবে তার ছেলে সাদিক আবদুল্লাহর অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম, শেখ ফজলে শামস পরশ, শেখ ফজলে নূর তাপস, শেখ হেলাল এবং তাদের পরিবারের সদস্যরাও দেশের বাইরে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়। খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলালের ভাই শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েলকে ৫ আগস্টের পরও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় দেখা গিয়েছিল। তবে বর্তমানে তিনি কোথায় আছেন তা কেউ বলতে পারছেন না।
শেখ পরিবারের অন্যান্য প্রভাবশালী সদস্য, নিক্সন চৌধুরী, লিটন চৌধুরী, শেখ কবির হোসেন এবং শেখ হাফিজুর রহমান ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। এছাড়া শেখ রেহানার দেবর মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিকও গোপনে চলে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। হাসিনার দূর সম্পর্কের ফুপা ঢাকা ওয়াসার সাবেক মহাপরিচালক তাকসিম এ খানও কোথায় অবস্থান করছেন তা বর্তমানে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এই পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের ভেতরে শেখ হাসিনার নিকট-স্বজনদের ভূমিকা এবং তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গণে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
অবশ্য এ প্রসঙ্গে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে খোদ শেখ হাসিনাই আক্ষেপ করে বলেছিলেন, তার আত্মীয়দের মধ্যে কেউ কেউ ঝড়ের পূর্বাভাস পেয়ে আগেই দেশ ত্যাগ করেছিলেন। তবে তার দাবি, তার পরিবারে শুধুমাত্র বোন এবং তাদের সন্তানরাই ঘনিষ্ঠ আত্মীয়।
আরইউএস