সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনকারী নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অংশ হিসেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শাখা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
রবিবার (১০ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় শহীদ মিনার থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্যারিস রোডে মিলিত হয়ে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন তারা।
মিছিলে তারা ‘জ্বালো রে জ্বালো;আগুন জ্বালো, একশন একশন ;ডাইরেক্ট একশন,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ডাইরোক্ট একশন, হৈ হৈ রৈ রৈ ছাত্র লীগ গেলি কই, ছাত্র দলের একশন ডাইরেক্ট একশন, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়,দিয়েছিতো রক্ত আরো দিবো রক্ত, শেষ হয় নি যুদ্ধ, আবু সাইদ মুগ্ধ,ধর ধর লীগ ধর, ধরে ধরে মানুষ কর, ছাত্র লীগের গুন্ডারা হুশিয়ার সাবধান,জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে, ছাত্র লীগের আস্তানা ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও,খালেদা জিয়া, জিয়া খালেদা’ সহ আরো স্লোগান দেন।
তাদের দাবি- বিগত ১৫ বছর ধরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর নির্যাতনকারী ও ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত করা নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসা এবং বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের আমলে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত সকল মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনা।
সমাবেশে রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ইতিমধ্যে খুনি হাসিনার কিছু অডিও রেকর্ড ফাস হয়েছে। সেই অডিও রেকর্ডে শোনা গেছে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী ও পুলিশেরা এখনো খুনি শেখ হাসিনার নির্দেশে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। বাংলাদেশের আনাচে কানাচে এখনও ফ্যাসিবাদের দোসররা ঘুরে বেড়াচ্ছে। অথচ বাংলাদেশের প্রশাসন ও বর্তমান সরকার এখনো কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের গ্রেফতার করতে হবে। সারা বাংলাদেশসহ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদী সরকারের কোনো শেকড় আমরা রাখবো না। ফ্যাসিবাদী সরকারের যেসকল দোসরেরা আনাচে কানাচে লুকিয়ে থেকে ষড়যন্ত্র করছে তাদের ধরে ধরে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
ফ্যাসিবাদী সরকারের দোসরদের ভারতে পালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, পলাতক খুনি হাসিনার কোনো দোসরকে আমরা বাংলাদেশে রাখবো না। অনতিবিলম্বে আপনারা ভারতে পালিয়ে যান। জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের কোনো নেতাকর্মী আপনাদের ধরতে পারলে মালিশের কোনো জায়গা থাকবে না।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সকলে সতর্কতার সাথে, বিচক্ষণতার সাথে, সহনশীলতার সাথে, এবং ধৈর্যশীলতার সাথে ফ্যাসীবাদিদের সাথে মোকাবিলা করুন। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের শরীরের রক্ত থাকা পর্যন্ত এই খুনি হাসিনার সকল ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়া হবে।
বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনতিবিলম্বে রাজনৈতিক দলের মাধ্যমে ভোটাধিকারের মাধ্যমে দ্রুত নির্বাচন দিন। বিগত আমলে যারা বাংলাদেশ পরিচালনা করেছে তারা ভালো করেই জানে কিভাবে খুনি হাসিনাকে জলে পানি খাওয়াতে হয়। সুতরাং, অনতিবিলম্বে আপনি দ্রুত নির্বাচন দিন।
কর্মসূচিতে, রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী, মেহেদী হাসান, শফিকুল ইসলাম, শাকিলুর রহমান সোহাগ, মাহমুদুল মিঠু, মারুফ হোসেন, এম এ তাহের রহমান এবং আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আবির হাসান হিমেল, নাফিউল ইসলাম জিবন, শেখ নূর উদ্দিন আবির, তুষার শেখ, ইমরান হোসেন রাকেশ, আনু সাঈদ সহ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।