গতকাল ঢাকার বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া। আজ সোমবার এই অভিনেত্রীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই অভিনেত্রীকে আটকের পর থেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানূষ থেকে শোবিজ অঙ্গন সব জায়গায় তুমুল আলোচনায় নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার ইস্যু। পক্ষে বিপক্ষে লিখছেন জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় থাকা অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও।
নুসরাত ফারিয়া প্রসঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত মতামত প্রকাশ করেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। জুলাই আন্দোলনে সরব ছিলেন এই অভিনেত্রী। তিনি ফারিয়ার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ‘কি এক লজ্জা। ফ্যাসিস্ট সরকার যা করেছে, সেখানে এই মেয়েটির কিছুই করার ছিল না। আমি এমন পরিস্থিতি এবং সিস্টেম সম্পর্কে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা এমন একটি দেশে বাস করি, যেখানে ন্যায্য অধিকার শব্দটা সাধারণ নয়। কিন্তু সত্যিকার ভাবেই এটা অগ্রহণযোগ্য।’
নাট্য অভিনেতা খায়রুল বাশার শিল্পী হিসেবে ফেসবুক সচেতন হয়ে নিজের মতামত দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘তিনি অভিনেত্রী। তাঁর কাজ অভিনয় করা। কোনো গল্পে যে চরিত্রটা পাবেন, সে চরিত্রের যথাযথ প্রকাশ সে করবেন; এই তাঁর কাজ। আমার ধারণা, তিনি রাজনীতি সচেতনও না। এমনকি তিনি কোন রাজনীতিও করেন না। এমনকি বিটিভিতে গিয়ে মায়া কান্নাও করেন নাই। তাহলে একটা সিনেমায় অভিনয় করাকে কেন্দ্র করে কেন এই হেনস্তা? সেখানে কেউ রাজনীতি করতে যাননি।’
পরিচালক শিহাব শাহীন লিখেছেন, ‘অবিশ্বাস্য এক আজগুবি মামলায় নুসরাত ফারিয়ার গ্রেপ্তার হয়রানিমূলক।’ সেখানে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘স্বৈরাচারের দোসরদের মধ্যে অন্যতম একজন নুসরাত ফারিয়া।’ তার উত্তরে এই পরিচালক লিখেছেন, ‘একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে দোসর হয়ে গেল।’
পরিচালক আশফাক নিপুণ লেখেন, ‘এভাবেই দিনে দিনে প্রকৃত খুনি ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা দুর্বল করতে অন্যদের সফট টার্গেট করা হয়ে আসছিল এবং করা হচ্ছে। এটাকে আর যাই হোক, সংস্কার বলে না সরকার। হত্যাচেষ্টার যে মামলা করা হলো এবং যে হত্যার সময় তিনি দেশেই ছিলেন না, সেই অভিনেতা নুসরাত ফারিয়াকে গ্রেপ্তার এবং কারাগারে প্রেরণ দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেই ইঙ্গিতই দেয়।