মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বুধবার রাতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন, আর মাশরাফি বিন মুর্তজা অনেক আগেই ক্রিকেট ছাড়েন। তামিম ইকবালও সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন এবং মুশফিকুর রহিম সাদা বলের ক্রিকেটে বিদায় জানিয়েছেন। এখন মাহমুদউল্লাহর পর সাকিব আল হাসানের অবসরের ঘোষণাও এক সময় আসবে কিনা, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। যদিও সাকিবের এই ঘোষণা আসা সময়ের ব্যাপার, তবে তা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডারের জন্য জাতীয় দলের জার্সি পরা আর সম্ভব নয়।
সাকিবের অবসর ঘোষণার প্রয়োজনীয়তা খুব একটা নেই, কারণ বাংলাদেশ ক্রিকেটের ‘পঞ্চপাণ্ডব’ এর অধ্যায় প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। ২০০৭ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জোহানসবার্গে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো একই ম্যাচে খেলেছিলেন মাশরাফি, সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ এবং তামিম। তারপর থেকে এরা বাংলাদেশের ক্রিকেটের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে ওঠেন, নানা সাফল্য ও ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে।
এই পঞ্চপাণ্ডবের মধ্যে সাকিব আল হাসান ছিলেন সবচেয়ে বড় তারকা। বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিব বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। তামিম ইকবাল ছিলেন দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাটসম্যান, মুশফিকুর রহিম ছিলেন টেকনিক্যালি সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান, এবং মাহমুদউল্লাহ ছিলেন বিশেষ ভূমিকা পালনকারী ক্রিকেটার। মাশরাফি বিন মুর্তজা ২০১৫ থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিপ্লব এনেছেন এবং দলের সাফল্যের রূপকার হয়েছেন।
তবে, এই পঞ্চপাণ্ডবের ক্যারিয়ারে রয়েছে কিছু আক্ষেপও। ২০১২ ও ২০১৬ এশিয়া কাপ ফাইনাল, ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে নাটকীয় হার, এবং নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল, ২০১৮ সালের এশিয়া কাপ ফাইনাল তাদের কাছে আফসোসের বিষয় হয়ে রয়ে গেছে। ২০০৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত তারা একসঙ্গে ১১১ ওয়ানডে খেলেছেন, যেখানে ৫৪টি ম্যাচে জয় পেয়েছে, ৫৩টি ম্যাচে হার এবং ৪টি ম্যাচে ফল আসেনি।
এখন সময় এসেছে পঞ্চপাণ্ডবের এই যুগের শেষ হওয়ার।