আগামী ৭ জুন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মুসলমানদের বৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদুল আযহা। আল্লাহকে রাজি খুশি করার জন্য অনেকেই ঈদুল আযহায় পশু কুরবানী করবেন। আর এসব পশুর চামড়া এলাকার এতিমখানা মাদ্রাসার উন্নয়নের লক্ষ্যে দান করে থাকেন। পশুর চামড়াগুলো দীর্ঘদিন সংরক্ষণের লক্ষ্যে লবণ ব্যবহার করতে হয়।
উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তার (পিআইও) অফিসের উদ্যোগে উপজেলার ৬৯’টি এতিমখানা মাদ্রাসা ও ৩১’জন (ট্যানারী) চামড়া ব্যবসায়ীর মাঝে ৫০ কেজি ওজনের ৩ বস্তা করে লবণ বিনামূল্যে বিতরণ করেন। উপজেলার (রামভদ্রপুর) ত্রিপুরা হাফেজিয়া এতিমখানা মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল খালেক বলেন, ঈদে এলাকার অনেক দানশীল ব্যক্তি তাদের পশুর চামড়া আমাদের মাদ্রাসায় দান করে। সেই চামড়াগুলো অনেক সময় পানির দামে পাঁচবিবি র চামড়া গোডাউনে বিক্রি করে দেই। এই বছর সরকারিভাবে বিনামূল্যে লবণ দিয়েছে। লবণ ছিটিয়ে চামড়াগুলো আমরা অনেকদিন রাখতে পারব এবং দাম বেশি হলে বাজারে বিক্রি করলে মাদ্রাসার আয় হবে বলেও জানান আঃ খালেক। অনেক চামড়া ব্যবসায়ীও একই কথা বলেন, এই প্রথম সরকারিভাবে বিনামূল্যে লবণ পেলাম।
বুধবার বিকালে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে মাদ্রাসার হুজুর ও চামড়া ব্যবসায়ীদের মাঝে লবণ বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমানা রিয়াজ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আবু বক্কর সিদ্দিক।