বাংলাদেশ দল পাকিস্তানের কাছে হেরে গেলেও বিশ্বকাপ খেলার সম্ভাবনা থাকবে। তবে তাকিয়ে থাকতে হবে ওয়েস্ট ইন্ডীজ-থাইল্যান্ড ম্যাচের দিকে। ওই ম্যাচটিতে চমক দেখি থাইল্যান্ড জিতলে নষ্ট হবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্ভাবন, তখন এগিয়ে থাকবে বাংলাদেশের নারী’রা। কিন্তু বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় এবং ওয়েস্ট যদি থাইল্যান্ডকে হারায় তবে সমীকরণ ভিন্ন হবে।
সেক্ষত্রে নেট রান রেট হয়ে উঠবে গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু ক্যারিবিয়ারা বাংলাদেশের চেয়ে রান রেটে বেশ পিছিয়ে, এখন শেষ দিনে নিগার সুলতানাদের টপকে যেতে হলে পয়েন্ট সমান করার পর জয়ের ব্যবধানও বড় রাখতে হবে। নেট রান রেটের কারণে ব্যবধান হতে হবে ২৫০ রানের।
অর্থাৎ বাংলাদেশ দল যদি পাকিস্তানের কাছে ১০০ রানে হারে, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে জিততে হবে ১৫০ রানে। বাংলাদেশ দলের হারের ব্যবধান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের ব্যবধানের যোগফল ২৫০ করলেই নিগারদের টপকে যেতে পারবে ক্যারিবীয়রা।
আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ যদি থাইল্যান্ডের রান তাড়া করতে নামে, সে ক্ষেত্রে কত ওভারের মধ্যে জিততে হবে তা নির্ভর করবে লক্ষ্যের ওপরে। সাধারণত ২০ ওভারের ভেতরে রান তাড়া করে ফেললে সেটা ১৫০ রানে হারানোর ব্যবধানের সমমান হয়ে থাকে।
তবে এত সব হিসাব–নিকাশের কিছুই লাগবে না, যদি বাংলাদেশ দল আগেভাগেই পাকিস্তানকে হারিয়ে দেয়। সেটা ১ রানে হোক বা ১ উইকেটে। ২০২৫ নারী বিশ্বকাপের আসর বসবে সেপ্টেম্বর–অক্টোবরে ভারতে। বাংলাদেশ মাত্র একবারই ৫০ ওভারের টুর্নামেন্টটি খেলেছে, ২০২২ সালে।