পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তার দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদেরকে দেশজুড়ে একটি বৃহৎ রাজনৈতিক আন্দোলনের গড়ে তোলার প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
জিও নিউজের খবরে বলা হয়েছে, জেলে বন্দী অবস্থায় থেকেই ইমরান খান এ নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (২৬ মে) পাঞ্জাব প্রদেশের আদিয়ালা কারাগারে ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আলীমা খান। তিনি অভিযোগ করেন, কারাগারে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে। একজন সাধারণ বন্দির যেসব মৌলিক অধিকার রয়েছে, সেগুলোও তাকে দেওয়া হচ্ছে না।
আলীমা খান জানান, গত আট মাসে ইমরান খান তার সন্তানদের সঙ্গে মাত্র একবার ফোনে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। এখন কারা কর্তৃপক্ষ নতুনভাবে নির্দেশ দিয়েছে, ইমরানের পরিবারের কেউই— এমনকি তার বোনরাও— আর দেখা করতে পারবেন না।
ইমরান খানের পক্ষ থেকে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে পাঠানো বার্তায় তিনি বলেন, পিটিআইকে আবার নতুনভাবে সংগঠিত করে দেশের প্রতিটি অঞ্চলে শক্তিশালী আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। একই সঙ্গে দলের মধ্যে যারা গোপনে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন, তাদের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। ‘উইকেটের দুই পাশেই যারা খেলতে চায়, তাদের পিটিআইয়ে জায়গা নেই’— এমন বার্তা দেন তিনি।
তিনি আরও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন, সরকারের সঙ্গে কোনো আপসচুক্তিতে যেতে চান না তিনি। প্রয়োজনে আজীবন কারাগারে কাটাবেন, তবুও মাথানত করবেন না।
এদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আন্দোলনের ডাক দিলেও পিটিআইয়ের শীর্ষ নেতারা সরকারের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আলোচনা মূলত ইমরান খানের মুক্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে। যদিও এখনো আনুষ্ঠানিক সংলাপ শুরু হয়নি, তবে অনানুষ্ঠানিকভাবে কিছু অগ্রগতি হয়েছে। এসব আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন পিটিআইয়ের বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইমরান খানের সাবেক আইনজীবী ব্যারিস্টার গওহর খান।