সচেতনতার অভাবে বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ১৫ হাজার শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়, যা প্রতিদিনের গড়ে ৪১টি শিশুর প্রাণহানির সমতুল্য। সেন্টার ফর ইনজুরি প্রিভেনশন অ্যান্ড রিসার্চ বাংলাদেশ (সিআইপিআরবি)-এর এক প্রতিবেদনে এই উদ্বেগজনক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলশানে সিআইপিআরবি আয়োজিত এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের (ময়েস) নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক সচেতনতামূলক কর্মশালায় এ তথ্য উঠে আসে। কর্মশালায় কারিগরি সহায়তা প্রদান করে ইউনিসেফ।
কর্মশালার মূল প্রতিপাদ্য ছিল পানিতে ডোবা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি, সাঁতার প্রশিক্ষণের সহজলভ্যতা, এবং পানিতে ডোবার হাত থেকে নিজেকে রক্ষার কৌশল শেখানো।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ বাংলাদেশের অফিসার ইনচার্জ ও চাইল্ড প্রোটেকশন চিফ ড. এলিসা কল্পনা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী, এবং বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন ও শিশু একাডেমির প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. তারিকুল ইসলাম চৌধুরী।
ইউনিসেফের চাইল্ড প্রোটেকশন স্পেশালিস্ট মনিরা হাসান প্রোগ্রামের কার্যকারিতা ও সাফল্যের বিষয়গুলো তুলে ধরেন। তিনি জানান, পানিতে ডোবার ঘটনা কমাতে সাঁতার প্রশিক্ষণ অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।
সিআইপিআরবির উপ নির্বাহী ড. আমিনুর রহমান এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডা. নুরু হোসেন চৌধুরীও কর্মশালায় তাদের বক্তব্য বলেন, পানিতে ডোবা প্রতিরোধে জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সাঁতার প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হলে শিশু মৃত্যুর এই হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সাঁতার শেখা এবং পানিতে ডোবার কৌশল সম্পর্কে শিক্ষা প্রদান শিশুদের নিরাপত্তায় একটি টেকসই সমাধান হতে পারে।
আরইউএস