বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাবেক সভাপতি এবং সাবেক সংসদ সদস্য নাজমুল হাসান পাপন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ৮০০ কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য হাতে পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক এখন তাদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত চালাচ্ছে।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে পাপন দম্পতির নামে ৩৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের খোঁজ পাওয়া গেছে। কমিশনের কাছ থেকে তদন্তে অনুমোদন পাওয়ার পর উপ-পরিচালক সাইদুজ্জামান তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
দীর্ঘ সময় বিসিবির সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে পাপনের বিরুদ্ধে একাধিকবার অর্থ অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে আসে। বিশেষ করে বিসিবির শত শত কোটি টাকার ব্যবহারে স্বচ্ছতার অভাব ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল দুদক বিসিবিকে একটি চিঠির মাধ্যমে ২৭টি ভিন্ন খাতের ব্যয়ের নথি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর মধ্যে ছিল পূর্বাচলে স্টেডিয়াম নির্মাণ, বিপিএল-এর বাজেট, আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে ব্যয়, বিদেশি কোচ নিয়োগ ইত্যাদি।
পাপন, যিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়নে একাধিকবার সংসদ সদস্য ছিলেন, তার বিরুদ্ধে সংসদ সদস্য থাকাকালীন সময়েও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগের পাশাপাশি বিসিবির অর্থ লোপাট সম্পর্কেও পৃথকভাবে অনুসন্ধান চালাচ্ছে দুদক। বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।