খুবি প্রতিনিধি :
শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় সাময়িক বহিষ্কৃত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছেন। ৪ মে দুপুরে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া একটি পোস্টে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকার কঠোর সমালোচনা করেন তিনি, যেখানে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও দেন পরোক্ষ হুমকি।
নোমানের ভাষায়, “প্রশাসন থেকে যখনই ডাকবে, আমি হাজির হবো। কিন্তু আমার বাড়িতে পুলিশ পাঠানো বা পরিবারকে হয়রানি করলে ক্যাম্পাসে খারাপ কিছু ঘটার আশঙ্কা থাকবে! এবং এর দায়ভার থাকবে একান্তই খু’বির অথর্ব প্রশাসনের ওপর। মাইন্ড ইট ভেরি কেয়ারফুললি।”
তিনি আরও লেখেন, “লিগ্যালভাবে আমি যে শাস্তি পাবো, মেনে নেব। তবে যারা ছাত্র সমাজকে চোর বলেছে, অপমান করেছে—তাদের শাস্তিও নিশ্চিত করতে হবে।”
এই পোস্টকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজের একটি বড় অংশ বলছে, এটি কেবল আত্মপক্ষ সমর্থনের চেষ্টা নয়, বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে পরিবেশ অস্থিতিশীল করার প্রয়াস। কেউ কেউ এটিকে প্রশাসনের ওপর ‘মনস্তাত্ত্বিক চাপ সৃষ্টির অপচেষ্টা’ বলেও মন্তব্য করছেন।
প্রসঙ্গত, ৩ মে বিকেলে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় নোমানকে সাময়িক বহিষ্কার, ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং তার স্নাতক ডিগ্রির সনদপত্র স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ‘অ্যাটেম্পট টু মার্ডার’ ধারায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “শিক্ষকের গায়ে হাত তোলা শিক্ষাজগতে এক লজ্জাজনক ঘটনা। শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষা করা যেমন প্রয়োজন, তেমনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাও আমাদের অঙ্গীকার। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।”
এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোমানের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া না এলেও, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সামাজিক মাধ্যমে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।