লোক-লোকান্তরে ঘুরে এসে
আনমনে হাঁটতে হাঁটতে মোড়াইলে
পৌঁছে গেলে যখন তোমার স্মৃতি
ভেসে ওঠে মনের কার্নিশে:
তখন যেন দুলে ওঠে এক মায়াবী পর্দা
আর পানকৌড়ির রক্ত ভেসে ওঠে তিতাসে!
কিন্তু আমি তো ভেবেছিলাম তুমি বোধহয়
সৌরভের কাছে পরাজিতই হয়ে গেছো;–
আর নাহলে কি কেউ ওইভাবে মক্তবের
চুলখোলা আয়েশা আক্তারের দিকে
এগিয়ে দেয় সোনালি কাবিন?
কিন্তু পরে দেখলাম– না! তুমি তো আসলে
আসমানে ভেসে যেতে থাকা কালের কলস
থেকে জল এনে অদৃষ্টবাদীদের রান্নার কাজে ব্যবহার করতে চাও শুধু!
আসলেই কবি যেখানে থাকে, কোলাহল তো সেখানে থাকবেই,
প্রার্থনার ভাষা জানার পরও তাই আবারও ভাঙন আসবেই!
তুমি তো শুধু ‘দ্বিতীয় ভাঙন’ লিখেই ফুরফুরে প্রজাপতির মতো ঈদ উদযাপন করতে উড়ে গেলে প্রভুর সিংহাসনের তলে
আর এদিকে দেখো– আবার ঘটেছে নব ভাঙনের সূত্রপাত!