ফিলিস্তিনের হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা উপত্যকায় অব্যাহত ইসরায়েলি বর্বরতা নিয়ে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় প্রয়োজনে অতীতে কারাবাখ-লিবিয়ায় ঢোকার মতো ইসরায়েলে প্রবেশ করতে পারে তুরস্ক।
রবিবার (২৮ জুলাই) জন্মশহর রিজে নিজ দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একেপি) এক সম্মেলনে এরদোয়ান এ সব কথা বলেন বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
বার্তাসংস্থাটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, তুর্কি প্রেসিডেন্ট দেশটির সামরিক বাহিনীকে অবশ্যই খুব শক্তিশালী হতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ফিলিস্তিনের সঙ্গে ইসরায়েল যে হাস্যকর কাজগুলো করছে তা যেন করতে আর না পারে। আমরা যেভাবে কারাবাখে এবং লিবিয়ায় ঢুকেছি, একইভাবে সেখানেও (ইসরায়েলে) প্রবেশ করতে পারি। এটি না করার কোনো কারণ নেই। এ জন্য আমাদের অত্যন্ত শক্তিশালী হতে হবে। এ সময়, তুরস্কের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসাও করেন ৭০ বছর বয়সী এরদোয়ান।
তবে তুরস্ক আসলে কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে সে সম্পর্কে কিছু খোলাসা করেননি ১০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা তুর্কি প্রেসিডেন্ট। এ ছাড়াও, ইসরায়েলও তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য ব্যক্ত করেনি।
গাজায় চলমান ইসরায়েলি অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকেই তীব্র সমালোচনা করে আসছেন এরদোগান।
২০২০ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক স্বীকৃত এবং লিবিয়ার ত্রিপোলি-ভিত্তিক জাতীয় ঐক্য সরকারের প্রধানমন্ত্রী আব্দুলহামিদ আল-দাবিবাহর সমর্থনে দেশটিতে সামরিক বাহিনীর সদস্য পাঠায় তুরস্ক।
পাশাপাশি, গত বছর ঘনিষ্ঠ মিত্র আজারবাইজানকে নাগোরনো-কারাবাখে অভিযান পরিচালনায় সহায়তা করতে সামরিক প্রশিক্ষণ এবং রণকৌশল আধুনিকীকরণে কাজ করার কথা স্বীকার করে দেশটি।
প্রসঙ্গত, একটানা নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজায় চলমান ইসরায়েলি এই হামলায় এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৩৯ হাজারেরও বেশি মানুষ। বর্বরোচিত এই কর্মকাণ্ডের ফলে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন বিশ্বনেতারা।