প্রতি মাসে প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের কমপক্ষে ৫০০ টাকা করে উপবৃত্তি দেওয়ার দাবি জানিয়েছে গণসাক্ষরতা অভিযান। আজ (২৪ মার্চ) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে প্রাক-বাজেট সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উত্থাপন করেছে সংস্থাটি।
‘বৈষম্যহীন বাংলাদেশের প্রত্যাশায় শিক্ষা বাজেট: আমাদের প্রস্তাবনা’ শিরোনামে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী, প্রাক-বাজেট প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন ড. মোস্তাফিজুর রহমান, এবং আলোচনা করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষা কনসালটেশন কমিটির আহ্বায়ক ড. মনজুর আহমদ এবং সিপিডির রিসার্চ ডিরেক্টর ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
বক্তারা বলেন, “মহার্ঘ ভাতা নিয়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ হলেও উপবৃত্তি বৃদ্ধি নিয়ে তেমন কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয়। বর্তমানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মাত্র ১৫০ টাকার কম উপবৃত্তি পাচ্ছে, যা দিয়ে কলম, পেন্সিল, রাবারসহ অন্যান্য শিক্ষা খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তাই, প্রাথমিক স্তরের প্রতিটি শিক্ষার্থীকে ৫০০ টাকা ও ৬ষ্ঠ শ্রেণি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শিক্ষার্থীকে ৭০০-১০০০ টাকা দেওয়ার সুপারিশ করছি।”
তারা আরও বলেন, “ড্রপ আউট বা ঝরে পড়া শিক্ষার্থী এবং যেসব বাচ্চারা বিদ্যালয়ে আসতে পারছে না, তাদের ক্লাসে ফিরিয়ে আনতেও উপবৃত্তি চালু করা যেতে পারে। বাল্যবিবাহের কারণে যেসব মেয়েরা পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে, তাদের জন্যও উপবৃত্তি চালু করার কথা ভাবা যেতে পারে, যাতে তারা আবার পড়াশোনায় ফিরে আসতে পারে।”
এছাড়া বক্তারা দাবি করেন, “অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষা চালু করতে হবে। বর্তমানে শিক্ষা ব্যয় অনেক বেশি। তাই প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৫০০ টাকা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য ৭০০-১০০০ টাকা উপবৃত্তি দিতে হবে।”