সাংবাদিকের সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্কে জড়ানো সহজ কথা নয়। তবে এটিও ঠিক যে, এটি ততটাও অলাভজনক নয়, যতটা মানুষেরা মনে করেন। সাংবাদিকের সঙ্গে জীবন জড়ালে আপনি অনেক ক্ষেত্রে লাভবান হবেন, অনেক বেশি অভিজ্ঞতায়ও সমৃদ্ধ হবেন। জেনে নিন একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার ইতিবাচক দিকগুলো-
- বিশ্বস্ত
ভালোবাসায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস বিশ্বাস, জগতে কত ভালেবাসা হারিয়ে গেছে শুধুমাত্র বিশ্বাসের অভাবে কিন্তু বিশ্বাস হলো সাংবাদিকদের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রেকর্ডের বাইরে রাখা থেকে শুরু করে তারা অনেক কিছুই নিরাপদ ও গোপন রাখতে জানে। তাই নিশ্চিন্ত থাকুন, আপনি যদি একজন সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করেন তবে আপনার বিশ্বাস ভঙ্গ হবে না এবং আপনার গোপনীয়তা সব সময় নিরাপদ থাকবে।

- সৃজনশীল
সাংবাদিকরা হয় অতিমাত্রায় সৃজনশীল তারা জ্ঞানপূর্ণ এবং আকর্ষক গল্পগুলো পাঠকের সামনে উপস্থাপন করে যা নিউজরুমের সীমার বাইরেও প্রসারিত হয়। এজন্যই সাংবাদিকের সঙ্গে প্রেম করার অন্যতম সুবিধা হলো সে আপনাকে সবচেয়ে স্নিগ্ধ উপায়ে মুগ্ধ করতে পারবে। এমনকী তার দেওয়া কষ্ট কিংবা অবহেলাও হবে একইরকম সৃজনশীল! কে না চায় প্রিয়জনের কথায় মুগ্ধ হয়ে থাকতে!
- আলাদিনের চেরাগের মত ইচ্ছেপূরণ
আপনার প্রিয় খেলা, কনসার্ট বা একটি শিল্প ইভেন্টে যোগ দিতে চান? আপনার ইচ্ছা হলেই তাকে জানান। কয়েকটি ফোনকলের মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যেই টিকিট পেয়ে যাবেন! প্রিয়জনের কাছ থেকে আলাদিনের চেরাগের মত এমন ইচ্ছে পূরনে কে না মুগ্ধ হয়!

- অন্তহীন কথোপকথন
সাংবাদিকরা বোকা এবং স্মার্টনেসের একটি নিখুঁত মিশ্রণ। বিশ্বের চারপাশে যা ঘটছে তার খোঁজ সাংবাদিকরা স্বাভাবিকভাবেই রাখে বলেই তাদের সঙ্গে কথোপকথন আকর্ষণীয়। কথা চালিয়ে গেলে তা আপনাকেও জ্ঞান বাড়াতে সাহায্য করবে, তাদের সঙ্গে অবিরাম কথা বললেও আপনি বিরক্ত হবেন না। কারণ তারা যেকোনো বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারে।
- তারা শহরের সবচেয়ে ভালো জায়গাগুলো জানে
অনেকে মনে করেন, সাংবাদিকেরা নিস্তেজ, অসামাজিক এবং আত্মপ্রেমেই মগ্ন থাকে। তবে বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। তারা শহরের সবচেয়ে আনন্দদায়ক পার্টিতে, সিনেমার প্রিমিয়ারে যেতে পারে; সেরা রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে পারে। এমন মানুষের সঙ্গী হতে কে না চাইবে!
- টাকা কিংবা সম্পত্তি তাদের কাছে মূখ্য নয়
কাজের প্রতি অনুরাগই সাংবাদিকদের চালিত করে, অর্থ নয়। যদি এটি অর্থ তৈরির বিষয়ে হতো, তবে তারা এই পেশায় থাকতো না। তারা তাদের পরিশ্রমের হিসাবে ততটা উপার্জন নাও করতে পারে, তবে তারা সময়কে বিনামূল্যে উপভোগ করতে পারে। এভাবে একজন মানুষ কাজকে ভালোবাসলে প্রিয় মানুষকে তিনি কতটা ভালোবাসতে পারে তা সহজেই অনুমেয়।
- মাল্টিটাস্কিং তাদের শক্তি
অগণিত উৎস, সময়সীমা এবং ভীষণ চাপের পরিবেশে কাজ করা সাংবাদিকদের অন্যতম দক্ষতা। সাংবাদিকরা মাল্টিটাস্কিংয়ে বিশেষজ্ঞ। তারা তাদের কাজ এবং তাদের সম্পর্কের মধ্যে পুরোপুরি ভারসাম্য রাখতে পারে। তারা সারাদিনের পরিশ্রমের পরেও সঙ্গীকে ভালোবাসা এবং যত্ন দিতে পিছপা হয় না।
- আপনাকে স্পেস দেবে
সাংবাদিকদের তুচ্ছ বিষয় নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তারা আপনাকে এক মিলিয়ন প্রশ্ন দিয়ে অতিষ্ঠ করবে না বা আপনি কীভাবে আপনার দিনের প্রতিটি মিনিট কাটিয়েছেন তা জানার দাবি করবে না। তারা আপনাকে স্পেস দেবে এবং বিনিময়ে একই আশা আপনার আদর আর ভালোবাসা।
- কঠোর পরিশ্রমী
সাংবাদিক হওয়া সহজ নয় কারণ এটি কঠোর পরিশ্রম এবং নিঃশর্ত অধ্যবসায় দ্বারা ভারাক্রান্ত একটি জীবন। পিআর- এর সঙ্গে কাজ করা থেকে শুরু করে খবরের উৎসের পেছনে দৌড়ানো যা মোটেও সহজ নয়। তারা ঠিকই জানে যে কোনোকিছু সঠিকভাবে পেতে এবং কার্যকর করতে কী লাগে; এবং তাদের ব্যক্তিগত জীবনের ক্ষেত্রেও একই আচরণ আশা করে।
- ভালো শ্রোতা
সাংবাদিকদের সবসময় মজার মজার গল্প থাকে। তারাও কিন্তু দারুণ শ্রোতা, তারা সত্যিকার অর্থে আপনার প্রতি আগ্রহ দেখাবে। তারা আপনার করা সামান্য ইঙ্গিতও ধরে ফেলতে পারদর্শী। বিপরীতে থাকা মানুষটিও হয়তো মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে কথা বলতে ভীষণ পছন্দ।
- সহায়ক