বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের উদ্দেশে বলেছেন, “জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র দিতে ব্যর্থ হলে জনগণের কাতারে ফিরে আসুন। প্রোক্লেমেশন দিতে বাধা থাকলে তা জনগণের সামনে প্রকাশ করুন। প্রয়োজনে আমরা আবারও রাস্তায় নেমে আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের দাবি আদায় করব।”
মঙ্গলবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাড়া শহীদ মিনারে জুলাই বিপ্লবের দাবিতে আয়োজিত এক পথসভা ও গণসংযোগে তিনি এসব কথা বলেন।
হাসনাত বলেন, “আমরা আপনাদের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব দিয়েছি। আপনারা জনগণের প্রতিনিধিত্ব করছেন। যদি কোনো কারণে প্রোক্লেমেশন দিতে না পারেন, তবে সেসব বাধার বিষয়ে জনগণকে জানানো উচিত। প্রয়োজনে আমরা আবারও রাস্তায় নামব, যেমনটা আগস্ট মাসে করেছিলাম।”
তিনি আরও বলেন, তরুণ প্রজন্মের মনোভাব যদি বর্তমান সরকার বুঝতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের পরিণতি হবে আওয়ামী লীগের মতোই। তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী সকল শক্তিকে একত্রিত হয়ে নতুন একটি বাংলাদেশ নির্মাণের আহ্বান জানান।
হাসনাত অভিযোগ করেন, “রাষ্ট্রযন্ত্র আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্ট জানাতে চাই, এই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনর্বাসিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। গত ৫ আগস্ট জনগণ সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। আওয়ামী লীগের রাজনীতি পুনর্লিখনের প্রচেষ্টা সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিক।”
তিনি আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, “আওয়ামী লীগের মানবাধিকারের জন্য যারা সরব, তারাই এতদিন ফ্যাসিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন। ফ্যাসিবাদকে সমর্থনকারী মিডিয়া, বুদ্ধিজীবী বা টক শো অংশগ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান দৃঢ় থাকবে।”
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, “ফ্যাসিবাদ সমর্থনকারী কলম ভেঙে দেব। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা চিন্তাভাবনা করবে বা প্রচার চালাবে, তাদের বিরুদ্ধেও আমাদের দৃঢ় অবস্থান থাকবে।”