হোলি আর্টিজান ট্র্যাজেডি নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র “ফারাজ” নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এই সিনেমার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট দুটি প্রতিষ্ঠান সরাসরি কোনো বিনিয়োগ না করলেও এর নির্মাণ ও প্রচারের পেছনে কিছু বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, সিনেমাটি হোলি আর্টিজানের ঘটনার প্রকৃত বিষয়কে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে এবং এতে মূল তদন্তকেও প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়েছে। পাশাপাশি সিনেমাটি নির্মাণে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে ৭৩ কোটি টাকা ভারতে পাচার করার অভিযোগও উঠেছে।
“ফারাজ” সিনেমাটিতে হোলি আর্টিজানের ঘটনাকে এমনভাবে তুলে ধরা হয়েছে যেখানে ফারাজকে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী চরিত্র হিসেবে দেখানো হয়। কিন্তু প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, এমন কোনো ঘটনা বাস্তবে ঘটেনি।
বরং বাংলাদেশি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, সিনেমাটি নির্মাণের প্রক্রিয়ায় সিমিন রহমান ও তার পুত্র যারাইফ আয়াত হোসেন বেশ কয়েকবার ভারতে ভ্রমণ করেন।
একই সময়ে, পরিচালক হানসাল মেহতা ও তার টিমও বাংলাদেশ সফর করেন এবং সিমিন রহমানের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই সিনেমার জন্য অর্থায়ন নিয়ে আলোচনার উদ্দেশ্যেই তাদের এই ভ্রমণগুলো হয়েছিল।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধানে জানা গেছে, “ফারাজ” সিনেমাটি বাংলাদেশে শুটিং করার জন্য কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি, যা আইন অনুযায়ী অবৈধ।
অনুমোদন ছাড়া যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত হওয়া সিনেমার পেছনে তৎকালীন তথ্যমন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের যোগসাজশ থাকতে পারে বলে সন্দেহ করছেন গোয়েন্দারা।
এছাড়া সিআইডি এখন তদন্ত করছে যে, সিনেমার নির্মাণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভারতে ৭৩ কোটি টাকা পাচার করা হয়েছে কিনা। ট্রান্সকম গ্রুপ ও সিমিন রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে।
এদিকে, চরকি নামক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের যৌথ উদ্যোগে এই প্ল্যাটফর্ম গড়ে উঠলেও এর অর্থায়নে ভারতীয় সহযোগিতা ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। অনুমতি ছাড়াই হওয়া এই চুক্তি এবং বিপুল অর্থ পাচারের বিষয়টি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তদন্ত করছে।
আরইউএস