বাতাসে বহিছে প্রেমনয়নে লাগিলো নেশাকারা যে ডাকিল পিছেবসন্ত এসে গেছে মধুর আমৃতবাণী বেলা গেল সহজেইমরমে উঠিল বাজি বসন্ত এসে গেছে ’বসন্ত এসে গেছে, মধুর অমৃত বাণী বাতাসে ভাসছে।
প্রকৃতি যেন নিজেকে নতুন করে সাজিয়েছে, চারদিকে রঙিন ফুলের মেলা আর মনমাতানো সুবাস। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ও বসন্তের এই রঙে রঙিন হয়ে উঠেছে।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত এই ক্যাম্পাস এখন ফুলের ছোঁয়ায় অপরূপ সৌন্দর্যের মাধুর্য বহন করছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থান জুড়ে শোভা পাচ্ছে পলাশ, কৃষ্ণচূড়া, গাঁদা, রক্তগাঁদা, গোলাপ, জবা, বাগান বিলাস, ক্যালেন্ডুলা, সালভিয়া, পিটুনিয়া, ডালিয়াসহ নানা প্রজাতির বাহারি ফুল। ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য যেন কবিগুরুর সেই চিরন্তন পঙ্ক্তি মনে করিয়ে দেয় -‘আজ এই বসন্তে কত ফুল ফোটে, কত পাখি গায়।’প্রকৃতির এই সজীবতা শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং দর্শনার্থীদের মোহিত করে তুলেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রবিন্দু নজরুল ভাস্কর্যের পাদদেশ ও প্রশাসনিক ভবনের পাশজুড়ে নানান ফুলের সমারোহ তৈরি করেছে এক স্বর্গীয় আবহ। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন স্থানে লাগানো হয়েছে ফুলের গাছ, যা শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বহিরাগত দর্শনার্থীদেরও দৃষ্টি আকর্ষণ করছে। ছুটির দিনগুলোতে ক্যাম্পাসজুড়ে মানুষের ভিড় বেড়ে যায়, প্রকৃতির সান্নিধ্যে কাটানো মুহূর্তগুলো সবাই ক্যামেরাবন্দি করে রাখতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
একজন দর্শনার্থী প্রীতি রানী বলেন, ‘এখানে এসে সত্যিই মন ভরে যায়। চারপাশের সৌন্দর্য, ফুলের রঙ আর সুগন্ধ মনকে প্রশান্তি দেয়। বসন্তের এমন রূপ আমি আগে কখনও দেখিনি।’বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘এই ক্যাম্পাস সবসময়ই সুন্দর, তবে বসন্ত এলে এর সৌন্দর্য কয়েকগুণ বেড়ে যায়। ক্লাসের ফাঁকে কিংবা বন্ধুদের সাথে আড্ডার সময় প্রকৃতির এই সৌন্দর্য আমাদের মন ভালো করে দেয়। ক্যাম্পাস যেন এক রঙিন ক্যানভাস হয়ে ওঠে।
’বসন্ত শুধু প্রকৃতির রঙে রাঙিয়ে দেয় না, এটি মনকেও করে প্রফুল্ল। নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বর্ণিল দৃশ্যপট বসন্তকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। প্রকৃতির এই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে দর্শনার্থী, সবাই এখানে ছুটে আসে।বসন্তের এমন অনাবিল আনন্দে ভরে উঠুক সবার হৃদয়, প্রকৃতির মাধুর্যে স্নিগ্ধ হোক প্রতিটি মুহূর্ত।