আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চলমান ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশকে চতুর্থ কিস্তিতে সাড়ে ৬৪ কোটি মার্কিন ডলার দেবে। ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ এই অর্থ ছাড় হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির প্রতিনিধি দলের প্রধান ক্রিস পাপাজর্জিও।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) অর্থ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, পঞ্চম কিস্তিতেও বাংলাদেশ একই পরিমাণ অর্থ পাবে। তবে এর আগে, মার্চ বা এপ্রিলে চতুর্থ পর্যালোচনা সম্পন্ন করবে আইএমএফ।
চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৩.৮ শতাংশে নেমে আসতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সংস্থাটি। বন্যা ও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের প্রভাব এতে বড় ভূমিকা রেখেছে। তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৬.৭ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করছে আইএমএফ।
ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, “বাংলাদেশের জন্য এটি ইতিবাচক বার্তা। একইসঙ্গে আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৫-৬ শতাংশে নেমে আসবে বলে আমরা আশাবাদী।”
ঋণ কর্মসূচি বৃদ্ধির অনুরোধ
বাংলাদেশ চলমান ঋণ কর্মসূচির আকার আরও ৭৫ কোটি ডলার বাড়ানোর জন্য আইএমএফকে অনুরোধ জানিয়েছে। এ প্রসঙ্গে ক্রিস পাপাজর্জিও বলেন, “চলমান কর্মসূচির আওতায় চতুর্থ কিস্তি হিসেবে বাংলাদেশকে সাড়ে ৬৪ কোটি ডলার দেয়া হবে।”
এছাড়া দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ও ঋণ কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে আরও আলোচনা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
বিশ্ব অর্থনীতির চাপ ও অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বাংলাদেশ দ্রুত পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে বলে আইএমএফের ধারণা। তবে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে নীতিগত পদক্ষেপ গ্রহণের ওপর জোর দিয়েছে সংস্থাটি।