রুশাইদ আহমেদ: বাংলাদেশি শ্রমিকদের জন্য আবারও খুলছে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার। আগামী কয়েক বছরে দেশটি বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক নেবে বলে আশা করা হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিককে পাঠানো হবে বিনা খরচে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাশুসন ইসমাইল ও মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিম চি কেওয়ার সঙ্গে একটি যৌথ সভায় বসবেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল। সেখানে শ্রমবাজার চালু নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে।
এর আগে, ২০২৪ সালের ৪ অক্টোবর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ড. আনোয়ার ইব্রাহিম বাংলাদেশ সফরে এসে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে উভয় পক্ষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও গভীর করার অঙ্গীকার করে। তারা মানবসম্পদ উন্নয়ন, বাণিজ্য, প্রযুক্তি, শিক্ষা, রোহিঙ্গা ইস্যু এবং কর্মসংস্থানসহ একাধিক বিষয়ে আলোচনা করেন।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের শ্রমিকরা আধুনিক দাস নয়, তাদের মর্যাদা রক্ষায় তার সরকার সচেষ্ট। তিনি বলেন, “বন্ধুর প্রতি দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতেই শ্রমবাজার আবার উন্মুক্ত করছি।” বাংলাদেশি শ্রমিকদের প্রতি আস্থার জায়গা থেকে ড. ইউনূসকে ব্যক্তিগতভাবে সম্মান জানান তিনি।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের দূতাবাস এবং প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই শ্রমবাজার খুলে দিলে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। তাদের মতে, শ্রমিকদের নিরাপদ ও স্বল্প খরচে অভিবাসনের সুযোগ নিশ্চিত করা হবে, যাতে অভিবাসনের ব্যয় কমে এবং শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
দূতাবাস কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ায় পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রমিক পাঠানো গেলে বাংলাদেশ বছরে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার অতিরিক্ত রেমিটেন্স অর্জন করতে পারে। ফলে এই উদ্যোগ শ্রমিকদের পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতির জন্যও হবে অত্যন্ত ইতিবাচক।