যুক্তরাষ্ট্র-চীনের চলমান বাণিজ্যযুদ্ধ বিশ্ববাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি করলেও বাংলাদেশসহ অন্যান্য প্রতিযোগী দেশের জন্য এটি বড় সুযোগ হয়ে উঠতে পারে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ১৪৫% পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করেছেন, যার ফলে যুক্তরাষ্ট্রে চীনের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা কমে গেছে। পালটা হিসেবে চীনও ১২৫% শুল্ক আরোপ করেছে।
এই পরিস্থিতিতে মার্কিন ক্রেতারা চীনের পরিবর্তে অন্য উৎস খুঁজছে, যার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বিশেষত তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশের উৎপাদন সক্ষমতা এবং যুক্তরাষ্ট্রে বিদ্যমান বাজার অবস্থান এটিকে এগিয়ে রাখে। যদিও একসময় বাংলাদেশি পণ্যের ওপরও পালটা শুল্ক আরোপ করা হয়েছিল, বর্তমানে তা কিছুটা স্থগিত হওয়ায় তিন মাসের জন্য শুল্ক হ্রাস পেয়েছে, যা রপ্তানির জন্য ইতিবাচক।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলাদেশ যদি বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে পারে এবং বিশেষায়িত খাতে উৎপাদন বাড়াতে পারে—যেমন কৃত্রিম তন্তু, ইলেকট্রনিকস, জুতা ও খেলনা—তাহলে চীন থেকে সরিয়ে নেওয়া বিনিয়োগের একটি বড় অংশ বাংলাদেশে আসতে পারে। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের এই বিরোধ তাই বাংলাদেশের জন্য দীর্ঘমেয়াদে সম্ভাবনার এক সোনালি দ্বার খুলে দিয়েছে।