বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও জাপানি কোম্পানি ডিআইসি’র নতুন বিনিয়োগ
জাপানের শীর্ষস্থানীয় রাসায়নিক কোম্পানি ডিআইসি কর্পোরেশন আজ সকালে বাংলাদেশে তাদের নতুন কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে। নারায়নগঞ্জের মেঘনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোনমিক জোনে নতুন কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়।
বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১১ টা নাগাদ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হয়। ডিআইসি করপোরেশনের পক্ষ হতে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের উদ্ধোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির কনস্ট্রাকশন ম্যানেজার সিদ্ধার্থ দে। উপস্থিত ছিলেন কান্ট্রি ম্যানেজার মো. জসিম উদ্দিন, বিক্রয় ও বিপণণ প্রধান মো. সালাত হাসানসহ সংশ্লিষ্টরা।
ডিআইসি কর্পোরেশন ১৯০৮ সালে জাপানে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বর্তমানে বিশ্বের ৬০টিরও অধিক দেশে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কোম্পানিটি কালি, রঙ, পলিমার, বিশেষ ধরনের প্লাস্টিক, যৌগিক পদার্থ এবং বায়োরসায়নিক উপাদানের উন্নয়ন, উৎপাদন ও বিক্রয়ে বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত। বাংলাদেশে ডিআইসি ২০২১ সালে প্রথম তাদের কার্যক্রম শুরু করে ।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “ বাংলাদেশ একটি রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বিগত ৫ মাসে কোনো বিদেশী কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে নি। এরকম একটি মুহূর্তে ডিআইসি এর মতো এতো বড় একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে এটি সত্যিই অভাবনীয়। একটি গবেষণা বলে, সত্তর শতাংশ জাপানি কোম্পানি বাংলাদেশে ব্যবসার পরিবেশ নিয়ে অসন্তুষ্ট, এতদ্বসত্ত্বেও ডিআইসি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে, একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমরা সত্যিই আনন্দিত। ”
বক্তারা আরও বলেন “বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশের জন্য শুধু পণ্য উৎপাদন নয়, বরং প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার জানাটাও জরুরি। ডিআইসি’র এই উদ্যেগটি বাংলাদেশে উদ্ভাভনী সৃজনশীলতার জন্য পথ উন্মোচন করবে বলে আমার বিশ্বাস। আর একারণেই ডিআইসি’র এই বিনিয়োগ বাংলাদেশের জন্য একটি যুগান্তকারী সম্ভাবনা হতে যাচ্ছে। ”
ডিআইসি কর্পোরেশনের এই নতুন ফ্যাক্টরি বাংলাদেশের রাসায়নিক শিল্পে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং উদ্ভাবন আনবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, শিল্প উৎপাদনের খরচ কমানো এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এটি একটি মাইলফলক হয়ে উঠতে পারে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, জাপানি কোম্পানির এই উদ্যোগ শুধু অর্থনৈতিক লাভ নয়, বরং বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের প্রতি নতুন আস্থা তৈরি করবে। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও এমন উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে সহায়ক হতে পারে।