বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের অবনতির ফলে শুটকি মাছ ব্যবসায়ীরা বড় আর্থিক ক্ষতির শঙ্কায় রয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চল যেমন ক্যানিং, নামখানা, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জ এবং দীঘা-শংকরপুরে শীত মৌসুম শুরু হওয়ার সঙ্গে শুটকি মাছ উৎপাদনের প্রস্তুতি জোরেশোরে চলছে। তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে টানাপোড়েনের কারণে বাংলাদেশ থেকে নতুন অর্ডার না আসায় ব্যবসায়ীদের উদ্বেগ বেড়েছে।
এই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে শুটকি মাছের চাহিদা সীমিত থাকায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রপ্তানি বাংলাদেশে নির্ভরশীল। কিন্তু বর্তমানে অর্ডারের পরিমাণ হ্রাস পাওয়ায় অনেক পরিবার অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির মুখে পড়ার আশঙ্কা করছে।
বকখালি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক দীনেশ সরদার এবং ব্যবসায়ী স্বপন দাস জানিয়েছেন, মৌসুম শুরু হলেও বাংলাদেশ থেকে প্রয়োজনীয় অর্ডার আসেনি। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ভারতকে বড় সুবিধা দিলেও বর্তমানে শুটকি মাছের রপ্তানিতে বাধার কারণে উপকূলীয় এলাকার শত শত পরিবার বিপদে পড়তে পারে।
প্রতি বছর রপ্তানি থেকে এই অঞ্চলে শত কোটি রুপি আয় হয়, যা বহু পরিবারের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস। তবে নতুন বাজার খুঁজে না পাওয়া গেলে এই সেক্টরে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে।