মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি: সাদাদ বিন আহাদ: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে অনুষ্ঠিত হলো পঞ্চম এসসিএলএস ন্যাশনাল ল’ অলিম্পিয়াড ২০২৫। দুই দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা (১১ ও ১২ জুলাই) আয়োজন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের শিক্ষার্থীদের সংগঠন সোসাইটি ফর ক্রিটিকাল লিগ্যাল স্টাডিজ (SCLS)। এবারের অলিম্পিয়াডের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘পরিবেশ আইন ও জলবায়ু ন্যায়বিচার’, যেখানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০টি দল অংশগ্রহণ করে।
এই প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষার্থী আল মুমিনুল মিয়া ও মোঃ সিফাতুল্লাহ উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তারা সেমিফাইনালে পৌঁছে টপ-৮ দল হিসেবে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছেন। শুধু তাই নয়, যুক্তিনির্ভর বিশ্লেষণ ও সমালোচনামূলক চিন্তার স্বীকৃতি স্বরূপ তারা ‘ক্রিটিক্যাল আই’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন।
এই বছর প্রতিযোগিতায় দেশের ৩০টিরও বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাছাই করা ৪০টি দল অংশ নেয়, যাদের মধ্য থেকে পাঁচটি ভিন্নধর্মী রাউন্ড— পিক্টোরিয়াল প্লি, রেবেলিয়াস স্পিরিট, ক্রিটিক্যাল আই, রিফর্ম এসেম্বলি ও সিম্পোজিয়াম—এর মাধ্যমে বিচার করা হয়। প্রতিটি রাউন্ডে পরিবেশ আইন ও জলবায়ু ন্যায়বিচারের ওপর ভিত্তি করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা নিয়ে দলগুলো যুক্তিনির্ভর বিশ্লেষণ ও বিতর্ক উপস্থাপন করে।
ল’ অলিম্পিয়াডের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন, চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (অ্যাকাডেমিক) অধ্যাপক ড. শামিম উদ্দিন খান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দিন, এবং আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জাফর উল্লাহ তালুকদার।
সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ তাজরুল হোসেন। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন ও অ্যাডভোকেট আহসানুল করিম।
সংবাদ সম্মেলনে এসসিএলএস এর চেয়ারপারসন তাফহিম উল ইসলাম, জেনারেল সেক্রেটারি নূর হোসেন বৈশাখ, এবং নির্বাহী সদস্য সৌরভ চৌধুরী ও ইস্মিতা আজিম উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির প্রতিনিধিত্বকারী শিক্ষার্থীদের এই কৃতিত্ব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের বিষয়। তাদের সাফল্য ভবিষ্যতে জলবায়ু আইন ও পরিবেশগত ন্যায়বিচার বিষয়ে আরও সচেতনতা ও আগ্রহ সৃষ্টি করবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।