বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটিতে “জুলাই স্মরণ” অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হলো জুলাই গণঅভ্যুত্থান পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা-২০২৫। অনুষ্ঠানে শহীদদের আত্মত্যাগ ও ছাত্র আন্দোলনের তাৎপর্য তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রিয়ার অ্যাডমিরাল ড. খন্দকার আক্তার হোসেন। তিনি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত শিক্ষার্থীসহ সকলকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। দেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান, বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থান ও বিপ্লব সম্পর্কে তার বক্তব্যে উল্লেখপূর্বক বিশ্বব্যাপী জুলাই গণঅভ্যুত্থান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বক্তব্যপর্বে জুলাইয়ের আন্দোলনের ঐতিহাসিক পটভূমি ও তাৎপর্য বিশ্লেষণ করা হয়। বক্তারা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত একচ্ছত্র শাসন ও দমননীতির বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ যে সাহসী প্রতিরোধ গড়ে তোলে, তা ছিল একটি ঐতিহাসিক জাগরণ। অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে শ্রদ্ধা জানানো হয় শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধ ও ইয়ামিনসহ সকল শহিদদের প্রতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক হাসিবুল ইসলাম এবং বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক স্বর্ণ দত্ত তাঁদের বক্তব্যে তুলে ধরেন সেই সময়কার বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রেক্ষাপট। এসময় প্রভাষক হাসিবুল ইসলাম (ব্যবস্থাপনা বিভাগ) ১৮ জুলাই মিরপুর ডিওএইচএ এ আটকে পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করার অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে জুলাই স্মরণ, জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও July Women’s Day উপলক্ষ্যে বক্তব্য রাখেন পোর্ট এন্ড শিপিং ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী অন্বেষণা বণিক। তিনি বলেন, ‘জুলাই’কে শুধু একটি সময় হিসেবে নয়, একটি নারী-নেতৃত্বাধীন জাতীয় জাগরণ ও আত্মত্যাগের চেতনাময় প্রতীক হিসেবে দেখেছি। এই মাসেই নারী জাগরণের নতুন অধ্যায় রচিত হয়েছে।’
অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং আগামীর প্রজন্মের জন্য ন্যায় ও সাহসের পথের দিকনির্দেশনার জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।