আগে ফাঁকা মাঠে খেলতে হলো ফুটবলারদের। দর্শক খড়ায় ভুগতে হতো রাজধানীর স্টেডিয়ামগুলো। তবে হামজা-শোমিত সোমদের আগমনে ফুটবলে বাংলাদেশ যেনো বসন্তের জোয়ার। আসন্ন সিঙ্গাপুর ম্যাচ ঘিরে যেন টিকিটের হাহাকার। একেতো দর্শকদের উপচে পড়া ভীড় তার উপরে শোনা যাচ্ছে নানা সমস্যার কথা।
বাফুফের থেকে বার বার বলা হচ্ছে সার্ভারে সমস্যা। তার পর বলা হলো সাইবার আক্রমণের শিকার হয়েছে। হ্যাক করা হয়েছে। চাপ নিতে পারছে না। কারা যেন সার্ভার হ্যাক করেছে। এখন থেকে টিকিট পাবেন, তখন থেকে টিকিট পাবেন-এসব কথা বলে আসছিলেন কর্মকর্তারা। টিকিট পাচ্ছে না দর্শক।
গতকাল দুপুরে বাফুফের একজন সদস্য বলছিলেন সাড়ে তিন হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে। আর সন্ধ্যার আগেই বলা হলো বাংলাদেশ-সিংগাপুর ম্যাচের সব টিকিট শেষ। বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়ালের ছোট ভাই তাজওয়ার আউয়াল বাফুফের কম্পিটিশন কমিটির সদস্য। তিনি গতকাল বিকালে কড়া পাহারায় বাফুফে ভবনে প্রবেশ করেন। সন্ধ্যার আগে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন টিকিট সব বিক্রি হয়ে গেছে।
গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আমাদের ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট সব বিক্রি শেষ। আমরা দেখেছি গতকাল রাত থেকে ৫ মিনিটে ৩০ হাজার ইউজার অনলাইনে আসার চেষ্টা করেছিল। আমরা একটা কিউ সিস্টেম করেছিলাম। কালকেও (সোমবার) দুবার সাইবার অ্যাটাক এসেছিল। কিন্তু আমরা সেটা সাকসেসফুললি মোকাবিলা করেছি। স্লো সিস্টেমটা নিয়ে। পুরো সিস্টেমটা নিয়ে। সারা রাত জেগে ছিলাম টিকিটিং কোম্পানির সঙ্গে। আমরা দেখেছি টিকিটিং কোম্পানি প্রত্যেক মিনিটে সাকসেসের সঙ্গে টিকিট সেল করছিল।’ তার কথার সঙ্গে দর্শকের কথা মিল পাওয়া গেল না।
উপস্থিত দর্শকরা জানিয়েছেন, তারা চেষ্টা করেও কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাননি। কেউ পেলেও সেটা একটা দুইটা টিকিট পেয়েছেন। বার বার সার্ভার জটিলতা দেখা গেছে। একজন দর্শক সোমবার সারা রাত চেষ্টা করেও একটা টিকিট কিনতে পারেননি। আর দুপুর থেকে বার বার অনলাইনে গিয়ে দেখা গেছে টিকিট নেই, সোল্ডআউট। তাহলে কারা গ্যালারির ১৮ হাজার ৩০০ টিকিট কিনে নিল। ভূতুড়ে থাবায় কি টিকিট শেষ, এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। টিকিট সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে সেকেন্ডে সেকেন্ডে কথা বলা একজন সহসভাপতি প্রথম প্রথম এসব নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে সরব থাকলেও এখন আর সংবাদমাধ্যমের সামনে আসছেন না।