বাকৃবি প্রতিনিধি: বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) জুলাই ৩৬ হলের ১৫ জন ছাত্রীকে শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল থেকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বাকৃবির ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ড. মো. হেলাল উদ্দীনের স্বাক্ষরিত শিক্ষা বিষয়ক শাখার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই ৩৬ হলে ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারি কিছু সংখ্যক ছাত্রীদের উচ্ছৃঙ্খল আচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশের আলোকে বিগত ১৩ জুলাই তারিখে অনুষ্ঠিত বোর্ড অব রেসিডেন্স এন্ড ডিসিপ্লিন কমিটির সভার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘অর্ডিন্যান্স ফর স্টুডেন্টস ডিসিপ্লিন’ এর ১৩ নং ধারা অনুযায়ী ছাত্র শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে অপরাধের গুরুত্ব বিবেচনা করে বিভিন্ন অনুষদের নিম্নবর্ণিত ১৫ শিক্ষার্থীদেরকে তাদের নামের পার্শ্বে বর্ণিত শাস্তি প্রদান করা হলো।
শাস্তিপ্রাপ্ত ১৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে চার জন্য শিক্ষার্থীকে দুই একাডেমিক সেমিস্টার এর জন্য শিক্ষা কার্যক্রম ও হল থেকে বহিষ্কার, দুই জনকে এক একাডেমিক সেমিস্টার এর জন্য শিক্ষা কার্যক্রম থেকে এবং দুই সেমিস্টারের জন্য হল থেকে বহিষ্কার, ছয় জনকে এক একাডেমিক সেমিস্টারের জন্য শিক্ষা কার্যক্রম ও হল থেকে বহিষ্কার, দুই জনকে এক একাডেমিক সিমেস্টারের জন্য হল থেকে বহিষ্কার এবং একজনকে আজীবনের জন্য হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে বাকৃবির জুলাই ৩৬ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. তাহসিন ফারজানা বলেন, হলের নাম পরিবর্তন নিয়ে একটি ঘটনা ঘটেছিল। তার প্রেক্ষিতে প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই তদন্ত কমিটি বিগত ছয় মাস তদন্ত করে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণে সুপারিশ প্রদান করেছে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাতে বাকৃবির শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের নাম পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ করে হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা। এসময় শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের পরিবর্তিত নাম ‘জুলাই ৩৬ হল’ বাদ দিয়ে পূর্বের নাম বহাল রাখা হোক।
এর আগে, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর তারিখে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ৩২৭তম অধিবেশনে গৃহীত ৭নং সিদ্ধান্তমূলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা মুজিব হলের নাম পরিবর্তন করে জুলাই ৩৬ হল রাখা হয়।