চলতি ফুটবল মৌসুমে ইউরোপের মাত্র দুটি ক্লাব এখনো ট্রেবল জয়ের সম্ভাবনায় টিকে আছে—স্পেনের বার্সেলোনা ও ফ্রান্সের প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। লিওনেল মেসির প্রস্থানের পর যেখানে বার্সা কিছুটা ছন্দপতনের শিকার হয়েছিল, সেখানে কোচ হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে নতুন উদ্দীপনায় ঘুরে দাঁড়িয়েছে কাতালানরা। আক্রমণভাগে লামিনে ইয়ামাল, রাফিনিয়া ও লেভানদোভস্কির মতো তারকারা আলো ছড়ালেও, দলের ছন্দবদ্ধ খেলায় যে একজন অপ্রতিরোধ্য ভূমিকা রাখছেন, তিনি হলেন পেদ্রি।
১৭ বছর বয়সে বার্সেলোনার হয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করা পেদ্রি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইনজুরির কারণে ছন্দ হারালেও চলতি মৌসুমে ফিরেছেন দুর্দান্ত ফর্মে। মাঝমাঠে বল নিয়ন্ত্রণ, আক্রমণে সহায়তা ও প্রতিপক্ষের চাপ সামাল দেওয়ার দিক থেকে তিনি হয়ে উঠেছেন দলের চালিকাশক্তি। যদিও তার পরিসংখ্যানে (৪৮ ম্যাচে ১০টি গোলে অবদান) তার প্রভাব পুরোপুরি ধরা পড়ে না, কিন্তু বার্সার খেলার গতি ও ভারসাম্য তার উপস্থিতির ওপর কতটা নির্ভর করে, সেটা বোঝা যায় তিনি মাঠে না থাকলে।
পেদ্রির খেলায় মুগ্ধ হয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের কিংবদন্তি ও জার্মানির সাবেক মিডফিল্ডার টনি ক্রুস। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের খেলোয়াড় হওয়া সত্ত্বেও পেদ্রির প্রশংসা করতে দ্বিধা করেননি এই বিশ্বকাপজয়ী মিডফিল্ডার।
ক্রুস বলেন, “পেদ্রি এমন একজন ফুটবলার, যার অভাব আপনি টের পাবেন তখনই, যখন সে খেলছে না। সে শুধু গোল কিংবা অ্যাসিস্টই করে না, বরং যেকোনো জটিল পরিস্থিতির সহজ সমাধান বের করে আনে।”
চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও লা লিগায় পেদ্রির পারফরম্যান্স তুলে ধরে ক্রুস আরও যোগ করেন, “শুধু ইউরোপিয়ান ম্যাচগুলোতেই নয়, প্রতিটি ম্যাচে সে গড়ে ৫২ থেকে ৫৯ জন প্রতিপক্ষকে আউটপ্লে করেছে—যা মিডফিল্ডারদের জন্য অবিশ্বাস্য।”
পেদ্রিকে বিশ্বের সেরা মিডফিল্ডারদের একজন হিসেবে বিবেচনা করে ক্রুস বলেন, “সে খুব কম জায়গায়ও ড্রিবল করে প্রতিপক্ষকে কাটিয়ে উঠতে পারে। এমন প্রতিভা খুব কম মিডফিল্ডারের থাকে। সে খেলার প্রতিটি ধাপে অবদান রাখতে পারে, আর এটাই তাকে সবার থেকে আলাদা করে।”