কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজারে মেলা বসানোকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত সমর্থকদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ মে) সন্ধ্যায় এ সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
আসাকুর রহমান, হাবিবুর রহমান, কুদ্দুস প্রামাণিক, তুহিন হোসেন, সরাফাত সুলতান, টিপু সুলতান, সুকুর শেখ, শরীফ, জিহাদ হোসেন, জামাত আলী ও ইউনুস আলী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, ‘গাজীকালু-চম্পাবতী’ নামক মেলা আয়োজন করা হলেও এর জন্য প্রশাসনের অনুমতি নেওয়া হয়নি। জামায়াতপন্থীরা মেলার বিরুদ্ধে অশ্লীলতা ও জুয়ার অভিযোগ তুলে তা বন্ধের দাবি তোলে। অন্যদিকে বিএনপির সমর্থকেরা মেলার পক্ষে অবস্থান নেন, যার ফলে এলাকায় বিরূপ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
সন্ধ্যার দিকে উত্তেজনা চরমে পৌঁছালে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। এতে দুপক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হন।
সরাফাত সুলতান নামে বিএনপিপন্থী এক কলেজ প্রভাষক অভিযোগ করে বলেন, “জামায়াতের লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুট করেছে।”
মেলার ব্যবসায়ীরা জানান, “আসরের নামাজের পর থেকেই জামায়াত-শিবিরের লোকজন মেলা ত্যাগ করার হুমকি দেয়। সন্ধ্যার আগে কয়েকশ’ লোক লাঠি-সোটা, রামদা ও হাঁসুয়া নিয়ে দোকানে হামলা চালায়। ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।”
অন্যদিকে, জামায়াতের পক্ষে কথা বলেন উপজেলার নায়েবে আমির আফজাল হোসাইন। তিনি বলেন, “আমরা ইসলামবিরোধী কার্যকলাপের প্রতিবাদ করতে গেলে মেলা কমিটির লোকজনই আমাদের ওপর চড়াও হয়। আমরাও আইনি ব্যবস্থা নেব।”
ইউনিয়নের উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান অভিযোগ করেন, “প্রশাসনের অনুমতি না থাকলেও মেলা আয়োজন করে বিএনপির সমর্থকেরা। আমরা জুয়া ও অশ্লীলতার প্রতিবাদ করতে গেলে হামলার শিকার হই।”
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান শেখ বলেন, “মেলা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। কয়েকজন আহত হয়ে চিকিৎসাধীন। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুলিশ নিরাপত্তা জোরদার করেছে।