বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে গুরুতর অসদাচরণের অভিযোগে অপসারণ করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব শেখ আবু তাহেরের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এর দফা (৬) অনুযায়ী, বিচারপতি খিজির হায়াতকে মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) অপসারণ করা হয়েছে।
সংবিধানের এই ধারা অনুসারে, কোনো বিচারক দায়িত্ব পালনে অক্ষম হলে বা গুরুতর অসদাচরণে লিপ্ত হলে, তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতি তাকে অপসারণের নির্দেশ দিতে পারেন। সেই বিধান অনুযায়ীই বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করা হয়েছে।
গত বছর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ হাইকোর্টের ১২ জন বিচারককে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। ওই তালিকায় বিচারপতি খিজির হায়াতও ছিলেন।
এই বিচারকদের মধ্যে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন ইতোমধ্যে পদত্যাগ করেছেন। বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন স্থায়ী নিয়োগ না পাওয়ায় বিচারপতি পদ থেকে বাদ পড়েন।
১৯৬৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করা খিজির হায়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করেন। ১৯৯৭ সালের ৬ আগস্ট তিনি ঢাকা জেলা জজ কোর্টে এবং ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১৮ সালের ৩১ মে তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হন।