বিশ্ববিদ্যালয়ের গুণগত মান নিশ্চিতের লক্ষে তদন্ত কমিটি গঠনের বদলে সংস্কার কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা সংস্কার কমিশন ও হল সংস্কার কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের আহবায়ক মেহেদী মারুফ ।
মঙ্গলবার ( ২২ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় উপাচার্যের বাসভবনের সামনে শিক্ষা ও শিক্ষার্থী অধিকার আন্দোলনের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন থেকে তিনি এসব দাবি জানান।
মানববন্ধনে মেহেদী মারুফ বলেন, বর্তমান প্রশাসন জুলাই বিপ্লবের পর বিভিন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কিন্তু এই প্রশাসন কি অথর্ব যে তারা আবাসিক হলগুলোতে ভালোভাবে সীট বন্টনই নিশ্চিত করতে পারেনি। তাছাড়াও হলগুলোতে যে খাবার দেওয়া হচ্ছে, সেই খাবার খেয়ে কোনো শিক্ষার্থী সুস্থ থাকতে পারে না। অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে কখনও কল্পনাও করিনি, হলের খাবারের মান উন্নয়নের দাবিতে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে । এটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ব্যর্থতারই বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণাঙ্গ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিণত করতে একটি সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে । উপাচার্যের দায়িত্ব হলো, যেখানে যেখানে সমস্যা আছে, সেখানে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া এবং প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে সংস্কার কমিশন গঠন করা। রাজশাহীতে যে সমস্ত মেস রয়েছে, তার অধিকাংশই শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা দ্বারা পরিচালিত হয় । এ সিন্ডিকেট ব্যবস্থার কারণেই আবাসিকতা নিশ্চিত করা সম্ভব হচ্ছে না।
এসময় ছাত্র অধিকার পরিষদের সদস্য সচিব আল শাহরিয়ার শুভ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্ট অনুযায়ী হলে সিট বন্টনের ক্ষেত্রে অর্থাৎ জেষ্ঠতার ভিত্তিতে যে সীট বন্টনের কথা থাকলেও বর্তমান প্রশাসন নতুন নিয়মে সিজিপিএ’র ভিত্তিতে বন্টন করছে ৷ এর ফলে অনেকে ৩য় বর্ষে থেকেও সীট পাচ্ছেনা কিন্তু প্রথম বর্ষের অনেকেই হলে আবাসিকতা পেয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, ২৪ অভ্যুত্থানের পূর্ববর্তীতে আমরা দেখেছি বিভিন্ন মতাদর্শের নেতৃবৃন্দের সুপারিশে অনেককে আবাসিকতা দেওয়া হচ্ছে । আগামী ২৮ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে ‘ফিস্ট মিলের’ আয়োজন করেছে সেখানে বলা হয়েছে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীরাই সে খাবার পাবে। ‘তার মানে কি অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা বিনোদপুরের শিক্ষার্থী? ’
মানববন্ধন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা উপস্থিতি ছিলেন।
দীন ইসলাম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়