টঙ্গীর তুরাগ তীরে শুরু হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার ৫৮তম আসরের প্রথম পর্ব। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) মাগরিবের পর ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার আম বয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি অংশ নিয়েছেন।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ফজরের পর পাকিস্তানের মাওলানা জিয়াউল হক বয়ান করবেন, এরপর সকাল ১০টায় বিভিন্ন খিত্তায় তালিমের আয়োজন রয়েছে। ইজতেমার প্রথম পর্বের আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে ২ ফেব্রুয়ারি।
এবার ইজতেমা দুই পর্বে বিভক্ত। প্রথম পর্ব ৩১ জানুয়ারি থেকে ২ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় পর্ব ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রথম পর্বে ৪১টি জেলা ও ঢাকার একটি অংশের মুসল্লিরা অংশ নিচ্ছেন, আর দ্বিতীয় পর্বে ২২টি জেলা ও ঢাকার বাকি অংশ অংশগ্রহণ করবে।
২০১৮ সালের সংঘর্ষের পর থেকে বিশ্ব ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবার প্রথম দুটি পর্ব মাওলানা জোবায়েরপন্থিরা আয়োজন করছেন, আর শেষ পর্ব মাওলানা সাদপন্থিরা আয়োজন করবেন। তবে সাধারণ তাবলিগ সাথীদের চাওয়া, ভবিষ্যতে দুই পক্ষ একসঙ্গে মিলিত হয়ে একক বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করুক।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর তৎপরতা রয়েছে। ইজতেমা মাঠজুড়ে বসানো হয়েছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, নিয়োজিত রয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যরা। মুসল্লিদের সুষ্ঠু যাতায়াত নিশ্চিত করতে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা জোরদার করা হয়েছে।
এছাড়া, মুসল্লিদের সুস্থতার জন্য পর্যাপ্ত মেডিকেল ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে, যেখানে জরুরি চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব ইজতেমায় যোগ দিতে বিদেশ থেকেও অসংখ্য ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এসেছেন, যারা বাংলাদেশি মুসল্লিদের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ধর্মীয় শিক্ষা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিচ্ছেন।
আরইউএস