রুশাইদ আহমেদ: আজ ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। দিবসটি ঘিরে বাংলাদেশে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ঘোষিত প্রতিপাদ্যের সঙ্গে মিল রেখে এ বছর বাংলাদেশের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে: ‘জন্ম হোক সুরক্ষিত, ভবিষ্যৎ হোক আলোকিত’।
দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশেষ বাণী প্রদান করেছেন। তাঁর বার্তায় তিনি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন:
❝২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নারী ও শিশুদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদান নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য, বাংলাদেশকে একটি সুরক্ষিত ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।❞
ড. ইউনূস আরও উল্লেখ করেন, মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার হ্রাসে আরও কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ জরুরি। যদিও স্বাস্থ্যসেবার অনেক উন্নতি হয়েছে, তবে এই দুটি সূচক এখনো দেশের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে। তাই, তিনি মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নয়নে সরকার, বেসরকারি খাত এবং আন্তর্জাতিক সহযোগীদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের আহ্বান জানান।
বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসের পেছনের ইতিহাসও তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৪৬ সালে জাতিসংঘ অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সে বছরের জুন-জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে গৃহীত হয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) সাংগঠনিক সনদ। ১৯৪৮ সালের ৭ এপ্রিল এই সনদ কার্যকর হয়, এবং দিনটি বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে নির্ধারিত হয়।
প্রতি বছর WHO এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্বাস্থ্য বিষয় নির্ধারণ করে, যা বৈশ্বিকভাবে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশেও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসচেতনতা বাড়ানো এবং স্বাস্থ্য খাতের অগ্রগতি তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।