রুশাইদ আহমেদ: বিসিএস পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস রোধে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। ভবিষ্যতে আর বিজি প্রেসে বিসিএসের প্রশ্ন ছাপানো হবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।
এর পরিবর্তে প্রশ্নপত্র তৈরি ও সংশোধনের কাজ সরাসরি পিএসসি কার্যালয়ে হাতে লিখে সম্পন্ন করা হবে। ওই সময় মোবাইল ফোনসহ কোনো ডিভাইস নিয়ে প্রবেশের সুযোগ থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের পিএসসি ভবনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের হাসান। তিনি বলেন, কমিশনের নতুন নেতৃত্ব গত বছরের জুলাই বিপ্লবের আদর্শ সামনে রেখে সংস্থাটিকে আরও স্বচ্ছ ও ছাত্রবান্ধব করতে বিভিন্ন সংস্কার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
চেয়ারম্যান জানান, কমিশনের কাজ শুরুর সময় আস্থার সংকট বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বর্তমানে একটি পূর্ণাঙ্গ ১৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিশন গঠিত হয়েছে এবং ইতোমধ্যেই একটি পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনা নিয়ে এগোনো শুরু করেছে। পুরনো পরীক্ষা জট কাটাতে দিনে ১২ ঘণ্টা কাজ হচ্ছে, এমনকি শুক্রবার-শনিবারও দুই শিফটে ভাইভা নেয়া হচ্ছে।
সংস্কারের অংশ হিসেবে ভাইভা নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে, যা ৪৭তম বিসিএস থেকেই কার্যকর হবে। প্রয়োজনে এটি ৫০ নম্বরে নামিয়ে আনার পরিকল্পনাও রয়েছে। আবেদন ফি ৭০০ টাকা থেকে কমিয়ে ২০০ টাকা করা হয়েছে, এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনজনিত হয়রানি রোধে নতুন বিধিমালার খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে।
ভাইভার আগেই ক্যাডার চয়েস দেওয়ার সুবিধা চালু হচ্ছে, এবং নন-ক্যাডার নিয়োগনীতিরও পরিবর্তন আনা হচ্ছে। খাতা মূল্যায়নের সময় কমাতে নতুন পদ্ধতির পরিকল্পনাও রয়েছে, যা ৪৬তম বিসিএস থেকেই পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে পারে।
পিএসসি সদস্য ড. নাজমুল আমীন জানান, নতুন সিলেবাস প্রণয়নের জন্য একটি কমিটি কাজ করছে এবং ৪৯তম বিসিএস থেকে তা কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে। আশপাশের দেশগুলোর সিলেবাস বিশ্লেষণ করে একটি আধুনিক ও প্রাসঙ্গিক কাঠামো তৈরির চেষ্টা চলছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে পিএসসির অন্যান্য সদস্য, সচিব ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।